ভারতে সংক্রমণ ঠেকাতে ৬-৮ সপ্তাহ লকডাউন জরুরি, আইসিএমআর প্রধানের পরামর্শে জল্পনা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে হু হু করে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি শেষবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ‘লকডাউন হচ্ছে শেষ অস্ত্র। আর তাকে যেন শেষ অস্ত্র হিসাবেই প্রয়োগ করে রাজ্য সরকারগুলি।’ কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি নিরিখে অধিকাংশ মানুষ লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করছেন। শুধু সাধারণ মানুষ না পাশাপাশি দীর্ঘ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব। আর এই পরামর্শ ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisements

Advertisements

আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “যদি কোন এলাকায় যত সংখ্যক মানুষের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে তার ১০% পজিটিভ হন তাহলে সংক্রমণের চেন ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য ৬-৮ সপ্তাহ লকডাউন দরকার। বর্তমানে দেশের ৭১৮টি জেলার তিন-চতুর্থাংশ এলাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্ত জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন।”

Advertisements

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের একাধিক রাজ্যের যা হাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে কেন্দ্র যাই বলুক না কেন সেই সকল রাজ্য লকডাউন, কার্ফু অথবা আংশিক লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে। বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই নিজেদের সংক্রামিত এলাকাকে শনাক্ত করে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি পূর্ণ লকডাউনের পক্ষপাতী নন।

[aaroporuntag]
তবে উল্লেখযোগ্যভাবে কেন্দ্রীয় কোনো প্রতিনিধি এই প্রথম লকডাউন জরুরি এমন সুস্পষ্ট মতামত পোষণ করলেন। এই মতামত বা পরামর্শ প্রদানের সাথে সাথেই জল্পনা তৈরি হচ্ছে তাহলে কি এবার সংক্রমণের চেন ভেঙে দেওয়ার জন্য লকডাউনের পথ বেছে নিতে পারে কেন্দ্র!

Advertisements