The motorcycle of TVS Rider will now run on Ethanol: বর্তমানে পেট্রোল ডিজেল ইত্যাদি জ্বালানির অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিক ভাবেই পকেটে টান পড়ছে সাধারণ মধ্যবিত্তের। এই কারণেই জ্বালানি খরচের কথা চিন্তা করে বহু মধ্যবিত্ত মানুষ নিজস্ব চারচাকার স্বপ্ন দেখা তো দূর, বাইক কেনার কথাও ভাবতে পারেন না। কারণ একবার খরচ করে বাইক কিনলেই তো হলো না, তাকে চলনশীল রাখার জন্য প্রয়োজন হবে পর্যাপ্ত জ্বালানি। তবে মধ্যবিত্তের এই সমস্যা দূর করতে এবার তৎপর হয়েছে বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। তাই তারা বাজারে নিয়ে আসছে ইথানল (Rider Ethanol) দ্বারা চালিত বাইক।
কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারত মোবিলিটি শো ২০২৪। এই শো এর মঞ্চে বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি গুলি তাদের নির্মিত নতুন গাড়ি প্রদর্শনের মাধ্যমে নানা চমক সামনে এনেছে। দেখা গেছে এবারে অটোমোবাইল সংস্থা গুলি ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিনের দিকে অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। এর আগেই বাজাজ এই ধরনের গাড়ি বাজারে নিয়ে এসেছিল। এবার সেই পথে হাঁটলো অপর এক বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান TVS। এই শো এর মঞ্চে তারা যে গতি প্রদর্শন করলো তার মডেলটি হলো TVS Raider 125।
বিশেষ গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো এই বাইকটিতে টিভিএস এর ফ্লেক্স ফুয়েল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ এই নির্মাণ কৌশলের কারণে এই বাইক পেট্রোলের সাথে ৮৫% ইথানলের (Rider Ethanol) মিশ্রণে চলতে পারবে, যা স্বাভাবিক ভাবেই চালকদের জ্বালানির খরচ অনেকটা হ্রাস করবে। এই বাইকটির মধ্যে থাকা উন্নত মানের ১২৪.৮ সিসি ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিনটি ২০% পেট্রোলের সাথে ৮৫% ইথানলের মিশ্রণ যুক্ত হয়ে চলতে সক্ষম।
আরও পড়ুন ? ১৫ টাকা লিটার পেট্রোল! মিলবে ভারতেই! কীভাবে জানালেন নীতিন গড়করি
জানা গেছে TVS এর ইথানল (Rider Ethanol) চালিত এই বাইকে ৭৫০০ আরপিএম গতিতে ১১.২ বিএইচপি এবং ৬০০০ আরপিএম গতিতে ১১.২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। এই বাইকে দেওয়া আছে ৫ ধাপ গিয়ার বক্স। এই বাইকের সামনের চাকায় ডিস্ক ও পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে, যা সহজেই গাড়ির ব্রেকিং সিস্টেমকে যথাযথ ভাবে কার্যকর করে তুলবে। সেই সঙ্গে এই বাইকে আছে ১৭ ইঞ্চি হুইল এবং এই হুইল এর সাথে আছে ৮০/১০০ ফ্রন্ট ও ১০০/৯০ সেকশন রিয়ার টায়ার।
TVS Raider 125 বাইকটি তার নজরকাড়া ডিজাইনের জন্য বাইকপ্রেমী দের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কমিউটার মডেল এর এই বাইকে ফ্লেক্স ফুয়েল ভার্সনের ইঞ্জিন ছাড়া আর কোনো সংযোজন ঘটেনি। এর স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনের মত এতে আছে ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, অল রাউন্ড এলইডি ইলুমিনেশন, অপশনাল ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি ইত্যাদি নানা উন্নত মানের ব্যবস্থা। যদিও এই মডেলটি কবে বাজারে এসে কবে বাইকপ্রেমী দের মন জয় করবে তা এখনও জানা যায়নি।