বাংলাদেশ : বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ ছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বজনপোষণ। শেখ হাসিনার পতনের পর মহম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)-এর হাতে এখন বাংলাদেশের ক্ষমতা গেলেও সেই একই রকম অভিযোগ তুলতে দেখা যাচ্ছে। বেছে বেছে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের চেয়ারে বসানোর অভিযোগ উঠছে আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাংলাদেশের বাসিন্দাদের একাংশ।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৮ আগস্ট মাত্র ৪ দিনের মাথায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় আর সেই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। নতুন সরকার গঠনের সাত দিন পার হয়েছে। তবে সাত দিন পার হতে না হতেই ইউনূসের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠছে।
এমনই নানান অভিযোগ তুলছেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীরা। শুধু সাধারণ মানুষ অথবা বুদ্ধিজীবীরা নন, পাশাপাশি একই অভিযোগ তুলতে দেখা যাচ্ছে ছাত্র সংগঠন এবং ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের একাংশকেও। তাদের একাংশ মহম্মদ ইউনূসের এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেরাও বিরক্ত। কাকে কাকে চেয়ারে বসালেন মহম্মদ ইউনুস?
১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা মহম্মদ ইউনূসের সেই সময়ের সহযোগী ছিলেন নুরজাহান বেগম। নুরজাহান ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে ছিলেন। এমনকি ২০১১ সালে মহম্মদ ইউনুস অবসর নেওয়ার পর তিনিই হয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার সঙ্গে ইউনূসের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে হলেও জোর গুঞ্জন রয়েছে বাংলাদেশে। তাকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করেছেন ইউনুস।
ইউনূসের আরও এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে নিযুক্ত করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের দায়িত্বে। রিজওয়ানা বাংলাদেশের পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান কার্যনির্বাহী পরিচালক, পরিবেশবিদ। পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। এছাড়াও ডাকসাইটে তিনি সুন্দরী হিসাবে পরিচিত।
মহম্মদ ইউনুস সরকারের আরও এক প্রধান উপদেষ্টার পদ হিসাবে তার আরও এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি হলেন লামিয়া মোরশেদ। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে ইউনূসের অফিসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক হিসাবে। এছাড়াও আরও একাধিক ঘনিষ্ঠদের পাশাপাশি কট্টর বিএনপি সমর্থককেও চেয়ারে বসানো নিয়ে বাংলাদেশের একাংশে ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।