Mutual Funds: ভারতের বাণিজ্যিক মহলে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন মুকেশ আম্বানি। তাঁর ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সংস্থা সিঙ্গাপুরের ব্ল্যাকরকের সঙ্গে যৌথভাবে গড়ে তুলেছে জিও ব্ল্যাকরক ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজ়ার প্রাইভেট লিমিটেড, যা আগামী দিনগুলিতে অর্থনীতি এবং লগ্নির বাজারে বিপ্লব ঘটাতে পারে। সম্প্রতি, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) থেকে এই নতুন উদ্যোগের জন্য প্রাথমিক ছাড়পত্র পাওয়া গেছে, যা মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Funds) পরিচালনার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই যৌথ উদ্যোগের আওতায় জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্ল্যাকরক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট একটি নতুন মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Funds) গঠন করতে চলেছে। সেবি ৩ অক্টোবর তাদের চিঠির মাধ্যমে এই অনুমোদন জানিয়েছে, যা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে, এটি শুধুমাত্র প্রাথমিক অনুমোদন; মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের জন্য বাকি শর্তগুলি পূরণ করতে হবে।
জিও ব্ল্যাকরক ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজ়ার প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠার সময় মনে করা হচ্ছে, এটি একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। ৬ সেপ্টেম্বর এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর আগে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক থেকে শংসাপত্র পেয়েছে। এই উদ্যোগে জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রাথমিকভাবে তিন কোটি টাকা লগ্নি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের একটি অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ২০২৩ সালের জুলাইয়ে রিল থেকে আলাদা হয়েছে।
আরো পড়ুন: গুগল পে-তে গোল্ড লোনের সুবিধা, নতুন অধ্যায়ের সূচনা
ব্ল্যাকরকের আন্তর্জাতিক প্রধান রিচেল লর্ড বলেন ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য নতুন লগ্নির ধারণা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। তারা অংশীদার জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাধারণ লগ্নিকারীদের বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে চান।
মুকেশ আম্বানির এই নতুন উদ্যোগ (Mutual Funds) ভারতীয় অর্থনীতির জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক প্রকল্প নয়, বরং সাধারণ মানুষের জন্য একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে। ফলে, এখন সকলের নজর থাকবে যে, কিভাবে এই নতুন উদ্যোগ দেশের লগ্নি বাজারে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবে এবং সাধারণ মানুষ কীভাবে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। এই নতুন প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে, মুকেশ আম্বানি এবং ব্ল্যাকরক নিশ্চিতভাবেই একটি শক্তিশালী এবং লাভজনক অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এটি বিনিয়োগের বিশ্বকে আরও গতিশীল এবং লাভজনক করে তুলবে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।