নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই আর্থিকভাবে জর্জরিত। শ্রীলঙ্কার এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের চিরশত্রু হিসেবে পরিচিত চীন (China)। তবে যত সহজে চীন এমনটা করবে ভেবেছিল তা আর হবে না, কেননা চীনের ঘুম উড়িয়ে এবার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani’s Investment in Sri Lanka) শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ করার জন্য মুখিয়ে উঠেছেন। তার টেলিকম সংস্থা জিও (Jio) এবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শ্রীলঙ্কায় যেভাবে বিনিয়োগ করার জন্য মুখিয়ে উঠেছে চীন, তা ভারতের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর। কেননা এর ফলে ভারত মহাসাগরে চীনের নজরদারি অনেক বেড়ে যাবে। মূলত চীন তাদের আর্থিক জর্জরিত পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে সরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। এমন পরিস্থিতিতে চীনের ইচ্ছে ছিল ওই টেলিকম সংস্থাগুলির শেয়ার কিনে ভারতের উপর নজরদারি বাড়ানো। কিন্তু এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চলেছে মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও।
এই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক আপডেট থেকে জানা যাচ্ছে, মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও শ্রীলঙ্কার টেলিকম পিএলসিতে অংশীদারিত্ব কিনতে পারে। এমন খবর সামনে আসতেই চীনের ঘুম উড়েছে। কেননা যদি মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার পিএলসির চুক্তি বাস্তবায়িত হয়ে যায় তাহলে তারা যে নজরদারি চালানোর প্ল্যান করেছিলেন তা আর সম্ভব হবে না। অন্যদিকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ভারত দ্বিগুণ সুবিধা পাবে।
আরও পড়ুন ? Moto G34 5G: নতুন 5G ফোন আনল Moto! দাম ৯৯৯৯, Jio গ্রাহকদের জন্য বাড়তি ৪৫০০ টাকার বেনিফিট
মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার পিএলসির চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ভারত মহাসাগরে ভারতের প্রভাব বিস্তার করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় যে সকল পর্যটকরা শ্রীলঙ্কা ঘুরতে যাবেন তারা অনেক সস্তায় পরিষেবা পাবেন। পর্যটকদের শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা উপভোগ করার ক্ষেত্রে খরচ অনেক কমে যাবে। এসবের ফলে ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি ভারত সরকারের সুবিধা পারবে এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও আলাদা বন্ধুত্ব তৈরি হবে।
শ্রীলঙ্কার টেলিকম সংস্থা পিএলসি ৪৯.৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের কাছে এবং বাকি ৪৪.৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আমস্টারডাম ভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশনের হাতে। তবে সরকারের তরফ থেকে যে শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই শেয়ার কেনার জন্য জিও ছাড়াও মুখিয়ে রয়েছে Gortune ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট হোল্ডিং লিমিটেড এবং পেটিগো কমার্সিও ইন্টারন্যাশনাল এলডিএ। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে জিও ওই শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।