নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেওয়া সংস্থাটির নাম হল জিও (Jio)। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) এই টেলিকম সংস্থা দেশবাসীকে সস্তায় ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি সস্তায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তিও উপহার দিচ্ছে। এবার মুকেশ আম্বানি সস্তায় পেট্রোল (Mukesh Ambani’s Petrol) দিতে পারেন বলেও শুরু হয়েছে জল্পনা।
শুধু জল্পনা নয়, এর পাশাপাশি এই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এমনকি মুকেশ আম্বানি নিজেও সস্তায় পেট্রোল আনতে পারেন বলে জানিয়েছেন। যে কারণে এই বিষয়টি নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে কৌতুহল চরমে পৌঁছেছে। কৌতুহল কেনই বা চরমে পৌঁছাবে না! কেননা এখন দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই ১০০ টাকার উপরে প্রতি লিটার পেট্রোল নিতে হচ্ছে নাগরিকদের। কোন কোন জায়গায় তো আবার পেট্রোলের দাম ১০৬ টাকার বেশি।
দেশ তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তিন বছর পর এমন বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন, যে পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সস্তায় পাওয়া যাবে পেট্রোল। শুধু সস্তায় পেট্রোল নয়, এর পাশাপাশি মুকেশ আম্বানির এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সস্তায় মিলবে ডিজেলও। আসলে এমন জল্পনা তৈরি হয়েছে মূলত কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের মন্তব্য থেকেই।
গত ডিসেম্বর মাসে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ভারত নিষিদ্ধ নয় এমন সমস্ত দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলা থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করার বিষয়টি বড় প্রত্যাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ২০১৯ সালে ভেনেজুয়েলার উপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি তুলে নেওয়া হয়।
এরপর ২০২৩ সালের প্রথম দিকেই মোটামুটি ঠিক হয়ে গিয়েছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস সরাসরি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে লেনদেন করবে। ভেনেজুয়েলার থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করার জন্য রিলায়েন্সের তরফ থেকে তিনটি অপরিশোধিত তেল ট্যাঙ্কার বুক করা হয়। যার ডেলিভারি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল ভেনেজুয়েলার থেকে আম্বানিরা অপরিশোধিত তেল আমদানি করলে দেশবাসীর কতটা লাভ? বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম তেল ভান্ডার রয়েছে ভেনেজুয়েলায়। স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের অপরিশোধিত তেলের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা। ফলে সেখান থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল পাওয়া গেলে ভারতীয় সস্তা হবে পেট্রোল ডিজেল এবং এর সফলতা পাবে ভারতীয় শোধনাগারগুলি।