“মমতা ব্যানার্জীর মামলার ফাইল লোপাট! আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়”, মুকুল রায়

লাল্টু : “মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বারাসাতে ৩২০ এর মামলার ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, আর আমাকে একটি মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার বিন্দুবিসর্গ পর্যন্ত জানিনা।”

ঠিক এভাবেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় বুধবার দুবরাজপুর থানায় হাজিরা দিতে এসে মমতা ব্যানার্জি ও সরকারকে কটাক্ষ করলেন। মুকুল রায় বলেন, “মমতা ব্যানার্জির জানা আছে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিতে কি করতে হয়। সুতরাং আমাকেও এখানে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের জন্য আমাকে একবার কেন ১০০ বার ডাকলে আমি যাব। আমি আমার তরফ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।”

এরপরেই তিনি মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করে বলেন, “ওনারা তদন্তকারী অফিসারদের তদন্ত করতে বাধা দেন। তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলে মমতা ব্যানার্জি রাস্তায় নেমে পড়েন, কারণ তিনি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেবেন না।”

‘পশ্চিমবঙ্গে চলছে অরাজকতা’, দাবি করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের অরাজকতা চলছে। যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রকাশ করতে পারেন না। যার উদাহরণ দেখেছি আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে। যে নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থীই দিতে পারেনি।” আর এরপরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, “আগামী পৌর নির্বাচনে যদি মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে সমস্ত পৌরসভার তৃণমূলের হাতছাড়া হবে, জিতবে বিজেপি।”

এদিন তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও জানান, “মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আর এই ভুল থেকে বের করতে আমরা সবার বাড়ি বাড়ি যাবো। এই আইন কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, এই আইন আনা হয়েছে পাকিস্তান বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই আইনে তো কোথাও বলা হয়নি মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, মুকুল রায় বুধবার দুবরাজপুরে হাজির হন ২০১০ সালের লাভপুরের তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখ খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায়। তিনি এদিন আসেন দুবরাজপুর থানায়। এখানে এসেই তিনি রাজ্য সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।