ভারতের এই বিমান বন্দরের শক্তির উৎসে নতুনত্ব, জানলে অবাক হবেন

Antara Nag

Published on:

Advertisements

মুম্বইয়ে অবস্থিত ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো ভারতের প্রথম এবং একমাত্র ‘সবুজ’ বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটির পরিচালনার দায়িত্বে আছে আদানি গ্রুপ এএআই। এই মুহূর্তে মুম্বাই বিমানবন্দরের ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সমস্ত বৈদ্যুতিক শক্তির যোগান দেওয়া হয় প্রাকৃতিক শক্তির উৎস থেকে। অর্থাৎ ছত্রপতি শিবাজী বিমানবন্দরে ব্যবহারিত বৈদ্যুতিক শক্তির জন্য পরিবেশে ন্যূনতম কার্বন নিঃসরণ ঘটে না। এই কাজের জন্য মূলত জলশক্তি, বায়ুশক্তি ও সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে থাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Advertisements

প্রতিনিয়ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে তার ভান্ডার যেমন ফুরিয়ে আসছে তেমনি জীবাশ্ম জ্বালানির দামও দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী। তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে আস্তে আস্তে পুরো বিমানবন্দরের বৈদ্যুতিক শক্তির জন্য প্রাকৃতিক শক্তির উপর নির্ভর করা হবে। বর্তমানে প্রতিদিন বিমানবন্দরের রোজ কার কর্মকাণ্ডের জন্য যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তার ৯৫ শতাংশই সরবরাহিত হয় জলশক্তি ও বায়ু শক্তি থেকে। বাকি ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় সৌর শক্তি থেকে।

Advertisements

সেই কারণে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দেশের মধ্যে প্রথম পরিবেশবান্ধব বিমানবন্দরের আখ্যা পেয়েছে। শুধু তাই নয় এটি ভারতের প্রথম হাইব্রিজ প্রযুক্তি চালিত বিমানবন্দরও বটে। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটানো হতো প্রাকৃতিক উৎস দ্বারা। সেটাই পরবর্তীতে মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৮ শতাংশে। আগস্ট মাস থেকে এই বিমানবন্দর পুরোপুরি ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক শক্তি দিয়ে চালনা করা শুরু হয়।

Advertisements

সেই সাথে এই বিমানবন্দর পরিণত হয় ভারতবর্ষের প্রথম সবুজ বিমানবন্দরে। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক শক্তির উপরই নির্ভরশীল। এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে তিন ধরনের অপ্রচলিত শক্তি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ দিয়েই বিমানবন্দর চালনা করা শুরু হয়। এপ্রিল মাসে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ১.০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়। যেটা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে। এই শক্তি দ্বারা বিমানবন্দরের মাত্র ৫% বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

বাদ বাকি ৮৮.৮৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে যে ও বায়ু শক্তি দ্বারা। এর পাশাপাশি ২০২৯ সালের মধ্যে সমস্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেট জিরো হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisements