নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে মহারাষ্ট্রে তৈরি হয়েছে দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এই সমুদ্র সেতুর মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে মুম্বাই ও নবী মুম্বাইকে। ৬ দশক আগে এমন সেতু তৈরীর চিন্তাভাবনা করা হলেও তা ২০১৮ সালে প্রথম বাস্তবের রূপ পেতে শুরু করে। এরপর গত ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু অর্থাৎ মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্কের (Mumbai Trans Harbour Link) নাম দেওয়া হয় অটল সেতু (Atal Setu)।
২১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটির ১৬.৫ কিলোমিটার অংশ রয়েছে সমুদ্রের উপর। এই সেতু উদ্বোধনের পর মুম্বাই থেকে নবী মুম্বাইয়ের দূরত্ব দেড় ঘন্টা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। স্বাভাবিকভাবেই এই সেতু উদ্বোধনের পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। খুব কম সময়ের মধ্যে এক শহর থেকে অন্য শহরে ছুটে যেতে সক্ষম হচ্ছে যানবাহন।
তবে এই সেতু উদ্বোধনের পর কেবলমাত্র সাধারণ মানুষরাই উপকৃত হচ্ছেন তা নয়, এর পাশাপাশি রোজ বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজস্ব হিসেবে ঢুকছে মহারাষ্ট্র সরকারের কোষাগারে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারের খাতে ঢোকার ফলে রীতিমতো লালে লাল হয়ে উঠছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই সেতু থেকে প্রতিদিন সরকারের কত টাকা রোজগার হচ্ছে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (Mumbai Metropolitan Region Development Authority) থেকে। প্রতিদিনের রোজগারের পরিমাণ শুনলে আপনিও চমকে যাবেন।
আরও পড়ুন ? Atal Setu: কেন দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু অটল সেতুতে চালানো যাবে না বাইক! জানুন কারণ
শেষ ১০ দিনের যে তথ্য মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, অটল সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার যানবাহন যাতায়াত করছে। শেষ ১০ দিনে মোট ৩ লক্ষ ৯ হাজার যানবাহন যাতায়াত করেছে এই সেতুর উপর দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই টোল আদায়ের পরিমাণ বিপুল হবে সেটাই স্বাভাবিক।
মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক থেকে শেষ ১০ দিনে ৬.১৫ কোটি টাকা রোজগার হয়েছে সরকারের। দিনের হিসেবে যদি ধরা হয় তাহলে প্রতিদিন ৬১.৫০ লক্ষ টাকা সরকারের খাতে আসছে। এই সেতু থেকে প্রথম দিন অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি ৫৪.৭৭ লক্ষ টাকা টোল আদায় করা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রতিদিন টোল আদায়ের গড় বৃদ্ধি পায়। যে কারণে এই অটল সেতু একদিকে যেমন যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাণিজ্য নগরীর গতি বৃদ্ধি করেছে কয়েক গুণ, ঠিক সেই রকমই সরকারের রাজস্বও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে।