মুর্শিদাবাদে ২৩ কেজি ওজনের মাছ, দাম শুনলে অবাক হবেন

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশালাকৃতির বিভিন্ন মাছ হামেশাই মৎস্যজীবীদের জালে উঠতে দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা সমুদ্র সৈকতে। এছাড়াও এই ধরনের মাছ ওঠে রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। দেখা যায় সেই সকল মাছ লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে এবার এইরকমই বিশালাকৃতির একটি মাছ উঠল মুর্শিদাবাদে।

মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে বিশালাকৃতির যে মাছটি মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে তার ওজন ২৩ কেজি। বিশালাকৃতির সেই মাছ দেখার জন্য সেখানকার মাছ বাজারে ভিড় জমাতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল বাঁধে এই বড় মাছ নিয়ে। তবে দীঘার মত লক্ষ লক্ষ টাকায় সেই মাছ বিক্রি হয়নি। সত্যি বলতে এই মাছের যা দাম উঠেছে তা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।

বাজারে ভিড় জমলেও এত বড় মাছ কে কিনবে তা নিয়েই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। মৎস্যজীবীদের তরফ থেকে মাছটি প্রথম দিকে চড়া দাম রাখার চেষ্টা করা হলেও শেষমেষ তার দাম দাঁড়াই মাত্র ৩০০ টাকা কিলো। তাও আবার সেই বিশাল মাছটি এলাকার বাসিন্দাদের ওই দরে ভাগ করে কিনতে হয়। মাছটির সর্বসাকুল্যে দাম উঠে ৭ হাজার টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার নবগ্রামের মানকর বিলে বিশালাকৃতির এই মাছটি মৎস্যজীবীদের জালে ওঠে। তবে বিশালাকৃতির এই মাছটি কোন প্রজাতির তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ এই মাছটিকে বিরিকেড মাছ বলছেন, আবার কেউ এটিকে বলছেন সিলভার। স্থানীয় এক মৎস্যজীবীর জালে ওই মাছটি ওঠার পর তা নিয়ে আসা হয় জিবন্তি বাজারে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই এই মাছটি দেখতে এলেও তারা এত বড় মাছ এত টাকা দিয়ে কেনার সামর্থ্য নেই বলে জানিয়েছেন। তবে তারা এত বড় মাছ দেখে খুশি হয়েছেন। অন্যদিকে জালে এত বড় মাছ ধরেও ওই মৎস্য ব্যবসায়ী প্রথমদিকে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান খরিদ্দার না পেয়ে।