জিয়াগঞ্জের শিক্ষক খুনের ঘটনায় জড়িত বীরভূম! তদন্তে বীরভূমে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে একই পরিবারের তিনজনের খুনের ঘটনায় তদন্তে বীরভূমের রামপুরহাটে এলো মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের একটি দল। আজ বিকাল বেলায় রামপুরহাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শৌভিক বণিক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আসে লালবাগ মহকুমা পুলিশ অধিকারিক বরুণ বৈদ্যের নেতৃত্বে তদন্তকারী পুলিশের দল।

তবে শৌভিক বণিককে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে তল্লাশি।

দূর্গাপূজার দশমীর দিন খুন হয় মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের অন্তঃসত্বা স্ত্রী সন্তানসহ বন্ধু প্রকাশ পাল। তারপর বিভিন্ন মহল থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় তেমন কোনো সাফল্য পাই নি।

আজ দুপুর ৩ টে নাগাদ লালবাগের এসডিপিওর নেতৃতের একটি তদন্তকারী দল রামপুহাটে সৌভিক বণিক নামের এক ব্যাক্তির খোঁজে আসে। তাঁরা রামপুরহাটের ৯ নং ওয়ার্ডের সৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ঘন্টা দুয়েক পর কিছু খাতাপত্র ডায়রি নিয়ে যায়। সৌভিক প্রতিবার পুজোই রামপুরহাটে আসতো বলেই জানাই স্থানীয় বাসিন্দারা, কিন্তু আবার পুজোয় তাকে দেখা যায় নি।

সৌভিক নেটওয়ার্ক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। সৌভিক প্রায় ৬ মাস বাড়ি আসেনি বলে জানাই সৌভিকের দাদা সৌরভ বণিক। মৃত বন্দুপ্রকাশ পালের স্ত্রীর বাবার বাড়ি রামপুরহাট থানার শিউরা গ্রামে। কিন্তু এই খুনের সঙ্গে সৌভিকের কি সম্পর্ক তা এখনই বলতে চাইনি তদন্তকারী অফিসাররা।

জিয়াগঞ্জের শিক্ষক খুনের ঘটনায় রামপুরহাটের পর তদন্তে সিউড়িতে এলেন লালবাগের এসডিপিও। অভিযুক্ত ব্যক্তি সিউড়ি জাতীয় সড়কের ধারে অরবিন্দপল্লীর একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে সে পালিয়ে যায়।