নিজস্ব প্রতিবেদন : ডায়েট কন্ট্রোল হোক অথবা কোলেস্ট্ররল যে কোন ক্ষেত্রে আমরা সর্ষে তেলের রান্নাকে এড়িয়ে চলি। কারণ আমাদের মনের মধ্যে এই রকম ধারনা আছে যে সর্ষের তেলে রান্না করলে ফ্যাট বাড়ে, কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি হয়, হার্টের সমস্যা হয় ইত্যাদি। কিন্তু এই ধারণাগুলো একেবারেই ঠিক নয়। বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে সরষের তেলে রান্না করা খাবার খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। আর এই সত্যটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
হার্টের যেকোনো ডিজিজের জন্য কোলেস্টেরলকেই দায়ী করা হয়। এই কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করে সরষের তেল।সরষের তেলে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা থ্রি আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভারসাম্য বজায় না থাকলে আমাদের শরীরে নানা রকম গন্ডগোল শুরু হয়।হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মত জটিল রোগ হয় এর কারণেই। এমনকি মানসিক হতাশা থেকে শুরু করে হাপানি ডায়বেটিক অ্যালজাইমার ইত্যাদি রোগ ও আমাদের শরীরে হানা দেয় শরীরে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য ঠিকঠাক মত না থাকলে।এই কোলেস্টরেলের ভারসাম্য ঠিকঠাক রাখতে ওমেগা-থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়াও সরষের তেলে থাকে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সকল উপাদানগুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে। তাই সরষের তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে আমাদের শরীরের উন্নতিই হয়। এছাড়াও সরষের তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে। তাই নিয়মিত সরষের তেল ব্যবহার করলে ত্বকের নানারকম ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া কোলন, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন ইত্যাদি ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সরষের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে।
শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রতিরোধ করার পাশাপাশি এই তেল চুলের জন্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগেকার দিনের দাদু ঠাকুমারা চুলে সরষের তেল ব্যবহার করতেন। কারণ সরষের তেলে অলিক অ্যাসিড ও লিনোলিক অ্যাসিড নামক দুটি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় তা আমাদেরকে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধিতে যেমন সহায়তা করে তেমনি চুলকে মসৃণ ও করে। তাই রান্নায় সাদা তেলের চাইতে সরষের তেলের ব্যবহার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও বৈজ্ঞানিক।