Banglar Saree: বাড়বে কাজের সুযোগ, মিলবে সস্তায় শাড়ি! বাংলায় বড় পরিকল্পনা মমতার

Prosun Kanti Das

Published on:

Nabanna is eager to open Banglar Saree project outlet before Puja: অপেক্ষার আর মাত্র ৪ মাস। তারপরেই হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। ৫ দিন ব্যাপী হই-হল্লা, ঘোরা-ঘুরি, খাওয়া-দাওয়া, আর সাজগোজ। পুজোর কিছুদিন আগের এই সময়টায় চলে কেনাকাটার ধুম। আর বাঙালি মেয়েদের কাছে পোশাকের মধ্যে শাড়ি একটু বেশিই পছন্দের। কোন দোকানে কি শাড়ি ভালো পাওয়া যায় তার খোঁজ নিয়ে সেইসব শাড়ি কেনার জন্য অনেকেই পৌঁছে যায় সেই সমস্ত নির্দিষ্ট দোকানে। কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না। তাই সাধারণের জন্য বাংলার বুকে ভালো মানের শাড়ি (Banglar Saree) সস্তায় বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে চলেছে নবান্ন। বাংলায় তৈরি করা হতে পারে শাড়ির আউটলেট। ইতিমধ্যে জমির খোঁজ করা শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। তবে শুধু শাড়ির বিক্রি নয় আউটলেট হলে হতে পারে বেশ কিছু কর্মসংস্থানও।

লোকসভা ভোটের আগে বাংলার শাড়ি (Banglar Saree) নামক একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে বেশ কয়েকটি আউটলেট তৈরি করা হতে চলেছে বাংলার শাড়ি প্রকল্পের আওতায়। পুজোর আগেই যাতে এই আউটলেট গুলি তৈরি করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে নজর রাখছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত আর কিছুদিনের মধ্যেই বাংলার শাড়ি প্রকল্পের ২ টি আউটলেট খুলতে চলেছে। ১ টি নিউ দিঘাতে, অপরটি ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপনে। ভালো শাড়ি কিনতে সবাই চায় কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে তা হয়ে ওঠেনা। সাধারণ দোকানগুলিতে পছন্দসই শাড়ির দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। তাই মধ্যবিত্তদের জন্য নেওয়া নবান্নের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হতে পারে। এখন থেকে আর বেশি দূরে যেতে হবে না, নিজের এলাকাতে সস্তায় ভালো মানের শাড়ি পেয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ।

শাড়ির আউটলেটগুলি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন জমির। তার জন্য ইতিমধ্যে সমগ্র রাজ্য জুড়ে প্রায় প্রতিটা ব্লকে চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমি খুঁজে তার যাবতীয় বিবরণ পাঠাতে হবে নবান্নর কাছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিটা ব্লকে বাংলার শাড়ি (Banglar Saree) প্রকল্পের আওতায় শাড়ির আউটলেট খুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই আউটলেটগুলো খুললে একদিকে যেমন ভালো শাড়ি সস্তায় পাওয়া যাবে, তেমনই শাড়ির বাজারের উন্নতি হবে, বাংলার শাড়ির কদর বাড়বে। তাঁত শিল্প, হ্যান্ডলুমের মতন বাংলার নিজস্ব শাড়ি শিল্পগুলির ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে এই প্রকল্পের হাত ধরে। রাজ্যবাসীর কাছে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বাংলার নিজস্ব শাড়িগুলি।

আরও পড়ুন 👉 Investment: সন্তান ১৮তম জন্মদিনেই হয়ে যাবে কোটিপতি! শুধু এইভাবে গুছিয়ে করতে হবে বিনিয়োগ

রাজ্যে শাড়ির আউটলেটগুলি চালু করা হলে, শাড়ির বাজার উন্নতির পাশাপাশি সুযোগ হবে কর্মসংস্থানেরও। প্রতিটা আউটলেটে কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হবে এই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকেও কিছুটা লাভবান হবে রাজ্যবাসী। শুধু তাই নয়, শাড়ির চাহিদা বাড়লে কাজ বাড়বে তাঁতিদেরও। কিছু তাঁতির উপার্জন বৃদ্ধি পাবে, আবার কিছু তাঁতি হয়তো নতুন করে কাজ পাবে। নতুন এই শাড়ির আউটলেট রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষদের জন্যই খুশির বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। রাজ্যের শিল্প ও শিল্পি উভয়কেই একসঙ্গে সুরক্ষিত করার এর থেকে ভালো উপায় বোধহয় আর হয় না। পাশাপাশি উন্নতি হবে রাজ্যের বাণিজ্যিক পরিস্থিতিরও। রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া এই অভিনব উদ্যোগে উপকৃত হবে গোটা রাজ্য।

পুজোর আগে বাংলার শাড়ির (Banglar Saree) আউটলেটগুলি খোলা সম্ভব হলে, মহিলাদের শাড়ি কেনার নতুন ডেস্টিনেশন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে এই আউটলেটগুলিকে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এই নতুন আউটলেটগুলিতে শুধুমাত্র সস্তার ভালো মানের শাড়ি নয়, পাওয়া যাবে দামি শাড়িগুলিও। শাড়ির দাম শুরু হবে মাত্র ৩০০ টাকা থেকে। তাই মধ্যবিত্ত হোক বা উচ্চবিত্ত সকলের কাছেই বাংলার শাড়ি প্রকল্পের এই আউটলেটগুলি জনপ্রিয় হতে চলেছে। রাজ্যের বাণিজ্যিক দিকটি ব্যাপকহারে উন্নতি করবে এই আউটলেটের হাত ধরে।