নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের করোনা গ্রাফ কম হতেই খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। তবে এই সকল পর্যটন কেন্দ্রে আসার জন্য আগত পর্যটকদের একাধিক বিধি-নিষেধ পালন করতে হচ্ছে। কিন্তু এই সকল বিধিনিষেধের কারণে যাতে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি না হয় তার জন্য জেলাশাসকের নির্দেশিকা পাঠালো নবান্ন।
ইতিমধ্যে রাজ্যের যেসকল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে যেমন দীঘা, শান্তিনিকেতন, তারাপীঠ, দার্জিলিং, ডুয়ার্স, বকখালি ইত্যাদি এই সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের যাওয়ার জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ পালন করতে হচ্ছে। এই সকল বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন, কোন কোন পর্যটন ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক, কোন কোন জায়গায় আবার অ্যান্টিজেন টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক।
এছাড়া নিয়মের গেরোয় পড়ে পর্যটকদের মিলছে না হোটেল অথবা রিসোর্ট। অন্যদিকে আবার বহু পর্যটককেই আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হচ্ছে, যার খরচ অনেক। ফলে অনেকেই এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ট্যুর বাতিল করছেন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের জেলাশাসকদের বিধি-নিষেধে কিছুটা হলেও শিথিলতা আনার কথা বলা হয়েছে।
তবে সেক্ষেত্রে একেবারে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা নয়। জানা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের জানিয়েছেন, আরটিপিসিআরের বদলে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে বেশি জোর দিতে। এর মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে পর্যটন শিল্পে গতি আনতে চাইছে রাজ্য, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে করোনার প্রথম বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও বহু মানুষই বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সাহস করছেন না। যে কারণে ওই বছর থেকেই এখনো পর্যন্ত পর্যটন শিল্প ধুকে চলেছে।