নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠাকুর দেখতে যাওয়া তো নয়, এর সঙ্গে আবার হাজার চিন্তা! কেননা কোন সময়ই বিপদ বলে কয়ে আসেনা। ঠিক সেই রকমই পুজোর হইহুল্লোড়ের মাঝেও বিপদ আসবে না এমন কথা গ্যারান্টি দিয়ে কেউ বলতে পারে না। ঠাকুরের ইচ্ছায় এমন ঘটনা কারোর সঙ্গে যেন না ঘটে। তবে যদি ঘটেও থাকে তাহলে কিভাবে তিনি দ্রুত সাহায্য পেতে পারেন তার কথায় আমরা আজকে বলবো এই প্রতিবেদনে।
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কোনরকম সমস্যায় পড়লে যাতে দ্রুত সেই সমস্যার কথা জানানো যায়, যাতে দ্রুত সেই সমস্যা দূর করে সাহায্য মিলতে পারে সেই জন্য নবান্নের তরফ থেকে রীতিমতো একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টার জন্য খোলা থাকবে। চতুর্থীর দিন থেকে এই কন্ট্রোল রুমের পরিসেবা শুরু করে দিয়েছে নবান্ন এবং যেকোনো সময় নবান্নের দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারেন বিপদগ্রস্ত মানুষেরা।
পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বহু মানুষকেই দেখা যায় অসুস্থ হয়ে পড়তে অথবা তাদের পরিজনদের দর্শনার্থীদের ভিড়ে হারিয়ে ফেলতে। এই সকল ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সাহায্য করার ব্যবস্থা থাকলেও সরাসরি এবার নবান্নের তরফ থেকে দুটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে সাহায্যের জন্য। নবান্নের তরফ থেকে যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং যে নম্বর দুটি চালু করা হয়েছে তা লক্ষ্মীপূজো পর্যন্ত চালু থাকবে। এর পাশাপাশি এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে সবসময় থাকবেন একজন বিশেষ আধিকারিক।
দুর্গা পুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুমের পরিসেবা দেওয়ার পাশাপাশি আবার এই কন্ট্রোল রুম খোলা হবে কালীপুজোর সময়। যাতে করে উৎসবের মরশুমে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সবাই সুখে শান্তিতে পুজো দেখে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তার জন্য এই কন্ট্রোল রুম খুলে কড়া নজরদারি চালানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুম রাজ্যের হাজার হাজার কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করবে এবং তাদের নিশ্চিন্তে পুজো দেখাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এবার আসা যাক কন্ট্রোল রুমের নম্বর প্রসঙ্গে। নবান্নের তরফ থেকে যে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে এবং যে নম্বর দুটি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল ১০৭০ এবং ০৩৩২২১৪৩৫২৬। যারা পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে বের হচ্ছেন তাদের এই দুটি নম্বর নিজেদের মোবাইলে সেভ রাখা অত্যন্ত জরুরী। কেননা হঠাৎ কোনো আপদ বিপদ এলেই এই নম্বর দুটিতে ফোন করে আপনি সাহায্য পেতে পারেন।