নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবনমুখী বাংলা গানের জন্য যিনি সবসময় সবার কাছে জনপ্রিয় তিনি হলেন নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty)। তার গানের জগত এবং গান নিয়ে আলোচনার কমতি নেই সংগীত জগতে। তবে এর পাশাপাশিও রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চায় থাকেন নচিকেতা। আবার মাঝে মাঝেই তাকে দেখা যায় মঞ্চে গান করার সময় মেজাজ হারাতে। ঠিক সেই রকমই ফের একবার নচিকেতাকে মেজাজ হারাতে দেখা গেল।
শীতকাল এসে গেছে, শীতকাল এলেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় শীতের সন্ধ্যায় নানান ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঠিক সেই রকমই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়দহের একটি ক্লাব নচিকেতা চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের ছন্দেই গান গায় ছিলেন নচিকেতা। তবে গান গাইতে গাইতে আচমকা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। শুধু মেজাজ হারানো নয়, পাশাপাশি মুখ ফসকে বেরিয়ে যায় হালকা খিস্তিও।
তবে নচিকেতা চক্রবর্তী যে বিষয়টি নিয়ে এইভাবে মেজাজ হারিয়েছেন সেটি কিন্তু তিনি সমাজকে ভালো পথ দেখানোর জন্যই এমন ভাবে আক্রমণ করেন। তবে তার আক্রমণের ভাষা ছিল কদর্য। আসলে নচিকেতা চক্রবর্তী বর্তমান কচিকাঁচা থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীদের হাতে থাকা মোবাইল নিয়ে বিরক্ত হন এবং এমন কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন। ঠিক কি হয়েছিল চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন ? ‘যাঃ! অবশেষে ডিভোর্সটা হয়েই গেল’, বলছেন নচিকেতা, ব্যাপারটা কী
নচিকেতা চক্রবর্তী মঞ্চে গান করছেন আর তার সামনে থাকা দর্শকাসনে প্রচুর যুবক-যুবতী, কিশোর কিশোরীরা মোবাইল নিয়ে কেবল ছবি তুলছিলেন। বিষয়টি দেখে তিনি বিরক্ত হন এবং বলে ওঠেন, ‘বোসো তোমরা। এত ছবি-টবি তোলোনা। ফটোগ্রাফার তুমি? গান শুনতে এসেছো, গান শোনো। এত ছবি তোলার কি আছে?’ এরপরেই তিনি বলে ওঠেন রাতে একটা ‘—’ নিয়ে সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারো কথা শোনে না। পড়াশুনোর নামগন্ধ নেই। নচিকেতা চক্রবর্তী যে কথাটি বলেছেন তিনি মূলত মোবাইল প্রসঙ্গে বলেছেন।
নচিকেতার এমন মেজাজ হারানো এবং ধমকানোর পরেও কিন্তু ছবি তোলা বন্ধ হয়নি। এরপরে ফের একবার নচিকেতাকে ছবি তুলতে বারণ করতে দেখা যায়। যদিও তাতেও কোন লাভ না হওয়াই শেষ পর্যন্ত নচিকেতা হাল ছেড়ে দেন এবং গান গাইতে শুরু করেন। এমন ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেই জানাচ্ছেন, নচিকেতার বলার ভঙ্গি খারাপ হলেও তিনি কিন্তু অযুক্তিপূর্ণ কোন কথা বলেননি।