লাল্টু : বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের রামু বশির খান নামে এক যুবক মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ইতোয়ারি এলাকায় গণেশ জানা নামে এক ব্যবসায়ীর সোনার দোকানে গত চার বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। গত চার বছর ধরে কর্মরত থাকার কারণে কর্মচারীর প্রতি ওই সোনা ব্যবসায়ীর সুসম্পর্ক তৈরি হয় এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। কিন্তু সেই বিশ্বাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দোকানের ৫ লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ দোকানের মালিক ওই যুবককে দু’জোড়া বাউটি এবং সোনার আরও কিছু জিনিসপত্র পালিশ করার জন্য পাঠান। আর এর পরেই ওই যুবক ওই সকল সোনার গয়না নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ঘটনার পর গণেশ জানা নিকটবর্তী নাগপুর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। যার পরেই নাগপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ওই যুবকের মোবাইল নেটওয়ার্ক ট্রেস করে বীরভূমে এসে পৌঁছান।
নাগপুর থানার পুলিশের তরফ থেকে বীরভূমে এসে ওই যুবকের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন দুবরাজপুর থানা এলাকায় ওই যুবক রয়েছেন। এরপর তারা দুবরাজপুর থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন এবং দুবরাজপুর থানার পুলিশ সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবককে ধরার জন্য দুবরাজপুর থানার পুলিশ ওই যুবকের গতিবিধি অনুসরণ করতে শুরু করে। আর এর পরেই বুধবার রাতে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
[aaroporuntag]
যুবককে হাতেনাতে ধরার পর অভিযান চালিয়ে ওই যুবকের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সমস্ত সোনার অলংকার উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ আনুমানিক ১০০ গ্রাম এবং যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা। ধৃত ওই যুবককে ট্রানজিট রিমান্ডে নাগপুর নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।