নিখোঁজ নানুরের সিপিআইএম নেতা, মোবাইলের লোকেশন দেখে রহস্য ঘনীভূত

নিজস্ব সংবাদদাতা : নিখোঁজ বীরভূমের নানুর এলাকার সিপিআইএম নেতা সুভাষ চন্দ্র দে। গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি, মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশন দেখে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য, পরিবারের দাবি অপহরণ করা হয়েছে সুভাষ চন্দ্র দে’কে।

নানুর এলাকার বাঁশাপাড়া শাখার সম্পাদক ও দীর্ঘদিনের শ্রমিক সংগঠনের নেতা কমরেড সুভাষচন্দ্র দে। পেশায় এলআইসি এজেন্ট। জানা গিয়েছে, সুভাষচন্দ্র দে গত ১৮ই অক্টোবর সকাল ৭:৩০ টায় বাড়ি থেকে বোলপুরে এলআইসি অফিস যাবার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যান।অফিসে কাজ সেরে অপর একজন এজেন্ট ইলাম বাজারের নাসির সেখকে সঙ্গে নিয়ে ইলামবাজার যান।নাসিরকে নামিয়ে উনি কোনো এক অজানা উদ্দেশ্যে জয়দেব মোড় যাবেন বলে বেরিয়ে যান। শেষ মোবাইল লোকেশন অনুযায়ী রাত্রি ৮:৩০ মিনিটে জয়দেব মোড়ের নিকট রাউতারা (শিব পুর) গ্রাম। কিন্তু তারপর থেকে উনার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি।

রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় এবং মোবাইল অফ থাকায় বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাতেই ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। পরদিন সকাল থেকে আবার খোঁজ শুরু হয়। পাশাপাশি সকাল ৮ টা নাগাদ নানুর থানায় মিসিং ডাইরিও করা হয়। সারাদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৈকাল ৬টা নাগাদ বাঁশাপাড়ার কাছেই বঙ্গছত্র গ্রামে একটি ডি.এড. কলেজের গেটের সামনে সন্ধান পাওয়া যায় সুভাষ বাবুর বাইকের। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে গাড়িটি নিয়ে যায় বাঁশাপাড়া ফাঁড়িতে।

সুভাষ বাবুর স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে নানুর থানায় অপহরনের অভিযোগও করেন তিনি। নিখোঁজ সুভাষ চন্দ্র দে সূঁচপুর গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে পরে তিনি বেকসুর খালাস পান।