নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে দিন পাঁচেক টানাপোড়েনের পর স্বস্তি মিললো নারদ কান্ডে ধৃত ৪ হেভিওয়েটের। শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হলে বিচারক এই চার হেভিওয়েটকে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দেন। তবে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও তাদের থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। আদালতের তরফ থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন এই চার হেভিওয়েটের শুনানি শুরু হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন মঞ্জুর করলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। শেষ খবর পাওয়া অবধি অর্ডার নিয়ে এখনো জটিলতা রয়েছে। আর সেই সূত্র মারফতি জানা যাচ্ছে জেল হেফাজত থেকে তারা মুক্তি পেলেও গৃহবন্দী থাকতে হবে তাদের।
নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের দুই বিচারপতি যেহেতু সহমত হতে পারেননি সেই কারণে নতুন করে বেঞ্চ তৈরি করতে হবে এবং সেখানে এই মামলা পাঠানো হবে। আর এই বেঞ্চ গঠন করা এবং মামলা পাঠানো পর্যন্ত যতদিন সময় অতিবাহিত হবে ততদিন এই চার হেভিওয়েটকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হবে। গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় অভিযুক্তদের চিকিৎসা এবং অন্যান্য সমস্ত সহযোগিতা করা হবে। একইভাবে অভিযুক্তদের তদন্ত চালাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এই চার হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চ্যাটার্জি সোমবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালত সন্ধ্যাবেলায় জামিন দেয়। কিন্তু পরক্ষণেই সিবিআই ওই জামিনের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালত কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্টের তরফ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং নিম্ন আদালতে জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
[aaroporuntag]
জামিনের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর ধৃতদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চ্যাটার্জি। তাদের প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে। পরবর্তীতে ফিরহাদ হাকিমও অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে তিনি হাসপাতালে না থেকে জেল থেকেই চিকিৎসা করেন।