করোনা ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০টি অনুরোধ, আপনি কতটা মানছেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার বারংবার দেশবাসীর কাছে কয়েকটি নির্দেশিকা পালনের অনুরোধ করেছেন, আবেদন করেছেন। এদিন আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর কাছে কতগুলি আবেদন করলেন করোনা সংক্রমণকে রোখার জন্য। এই আবেদনগুলি কি কি জানেন তো?

১) আগামী ৫ই এপ্রিল তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি কার্য পালন করার আবেদন করেছেন। রবিবার ঠিক যখন রাত্রি ন’টা বাজবে তখন ৯ মিনিটের জন্য ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে মোমবাতি বা টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ছাদে বা বারান্দায় অথবা দরজার সামনে দাঁড়াতে বলেছেন। এইভাবে গোটা ভারতবর্ষের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্ধকার তথা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত এই বার্তা দেওয়া যাবে।এর আগে ২২ শে মার্চ জনতার কার্ফুর দিনও তিনি জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষকে সম্মান জানাবার উদ্দেশ্যে বিকেল পাঁচটায় পাঁচ মিনিট ধরে তালি দিতে, ঘন্টা বাজাতে বলেছিলেন।

২) করোনার এই যুদ্ধে যারা সম্মুখ সমরে লড়ছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ওয়ার্ড বয়, অ্যাম্বুলেন্স চালক, সাফাই কর্মী, পুলিশ ইনাদের অবদানের কথা মনে রাখার আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

৩) সাধারণ মানুষকে তিনি বলেছেন যে জরুরী কোনো অপারেশন বা ইমারজেন্সি কোন অবস্থা ছাড়া যেন সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এখন না যান।

৪) শিল্পপতিদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন যে শিল্পপতিরা ও যেন তাদের কলকারখানায় নিযুক্ত কর্মচারীদের বাড়িতে রেখে কাজের ব্যবস্থা করে দেয়।

৫) স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাঁর অনুরোধ যে করোনাতে কারা কারা সংক্রামিত সেগুলির যত দ্রুত সম্ভব চিহ্নিত করে, তাদেরকে খুঁজে বের করে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) লকডাউন না মেনে চলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

৭) প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে, “আপনাকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় গুজব ছড়াবে বেশি। আমার আবেদন আপনারা সেইসব গুজবে কান দেবেন না ও কুসংস্কারে বিশ্বাস করবেন না।” গুজব যাতে না ছড়ায় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

৮) রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন যে লক্ষণ রেখা কখনোই পেরোবেন না। আপনি বাড়ি থেকে বের হলেই করোনাভাইরাস আপনার বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারে। তাই ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

৯) এইসময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয় সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।

১০) মানুষের মনোবল তৈরি করতে ও মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা যে আছে এ কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদকের কাছে অনুরোধ করেন যে তারা যেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের মেলবন্ধন ঘটানোর কাজটি এই সময় করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এখন নেতিবাচক ভাবনা চিন্তা আর গুজব আটকানোটাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার যে সবরকম ভাবে চেষ্টা করছে কোভিড-১৯ ঠেকাতে তা মানুষকে বোঝাতে হবে।”

কিন্তু প্রশ্ন হলো এই অনুরোধ আমরা কতটা মেনে চলছি? এই নির্দেশিকাগুলি মেনে চললে আমরা সহজেই করোনার বিরুদ্ধে জয় পাবো মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ এই সকল নির্দেশিকাকে না মেনেই নিজের, নিজের পরিবারের সদস্যদের ও অন্যান্যদের জীবনকে ঝুঁকির সামনে ঠেলে দিচ্ছেন।