নিজস্ব প্রতিবেদন : সাত দশক আগে দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া চিতাকে পুনরুদ্ধার করা হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। ওই দিন আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে বোয়িং৭৪৭ বিমানে আটটি চিতা উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এই চিতাগুলি উন্মুক্ত করেন মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশলান পার্কে। এই প্রকল্প ২০১০ সাল নাগাদ গ্রহণ করা হয়। ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০-এর কাছাকাছি চিতা আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পাওয়ার পর এই প্রকল্পের জন্য ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই টাকার মধ্যে ৪০ কোটি টাকা ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের তরফ থেকে দেওয়া হয়। এই কোটি কোটি টাকার চিতা কুনো ন্যাশলান পার্কে রাখা হলেও এগুলি কি আমজনতা দেখতে পাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে আসে এই নতুন অতিথিদের কথা। নামিবিয়া থেকে আনা এই আটটি চিতার মধ্যে একটি চিতার নাম ইতিমধ্যে রাখা হয়েছে এবং বাকিগুলির নতুন নামকরণের জন্য দেশবাসীর কাছে মত চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি এই সকল অতিথিদের নামকরণ নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সেই প্রতিযোগিতায় যিনি জয়ী হবেন তিনিই প্রথম এই চিতা দর্শনের সুযোগ পাবেন।
তবে এই প্রতিযোগিতা এবং চিতা দর্শনের জন্য আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি আমজনতার জন্য এই সকল চিতা দর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে হলে জানা যাচ্ছে। তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে সাধারণ মানুষ জঙ্গলে গিয়ে তাদের দেখতে পাবেন।
আমজনতার জন্য এই চিতা দর্শনের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হলেও সরকার চাইছে দ্রুত এই সকল চিতার নামকরণ করতে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী মনে করছেন, এই সকল চিতাদের নামকরণ করার জন্য প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।
