লকডাউন চলাকালীন বিনামূল্যে ১ মাস ফ্রি কলিংয়ের দাবি তুললো কংগ্রেস

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। আর এই লকডাউন চলবে আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত। লকডাউন চলাকালীন কাজ হারিয়ে চরম অসুবিধার সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। তবে এই মুহূর্তে এই ভাইরাসের থেকে বাঁচার বিকল্প কোন রাস্তা নেই বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, যে কারণে তিনি দেশের জনগণের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। লকডাউন চলাকালীন সরকারিভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান থাকলেও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের হাতে টাকা পয়সা শেষের দিকে চলে যাওয়ায় নানান দিক থেকে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বিশেষ করে যেসকল শ্রমিকরা কাজে আটকে রয়েছেন তাদের সমস্যাটা আরও প্রকট। এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের সাথে বিনামূল্যে ফোন যোগাযোগ রাখার জন্য কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি তোলা হলো, এক মাস বিনামূল্যে ফ্রী ইনকামিং আউটগোয়িংয়ের বন্দোবস্ত করার। আর এই দাবি তুলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া টেলিকম সংস্থাগুলিকে চিঠিও দিয়েছেন।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া টেলিকম সংস্থাগুলিকে দেওয়া সেই চিঠিগুলি তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তুলে ধরে জানিয়েছেন, মুকেশ আম্বানি (জিও), কুমার মঙ্গলম বিড়লা (ভোডাফোন ও আইডিয়া), পিকে পারওয়ার (ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড) ও সুনীল ভারতী মিত্তাল (ভারতী এয়ারটেল)-কে চিঠি লিখে কংগ্রেসের তরফ থেকে বিনামূল্যে এক মাস ফ্রি ইনকামিং আউটগোয়িং কলের সুবিধা দেওয়ার জন্য আর্জি করা হয়েছে।

কংগ্রেসের তরফ থেকে আর্জি জানানোর জন্য যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে তা বিশেষ করে দেশের শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য। কারণ দেশের শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা ‘দিন আনে দিন খাই’। সে ক্ষেত্রে লকডাউন চলাকালীন তাদের হাতে কাজ নেই। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে তাদের পাশে দাঁড়ালেও জীবন যাপনের জন্য আরও বেশকিছু নূন্যতম চাহিদা থাকে যেকোনো মানুষেরই।আর যেসকল শ্রমিকরা এখন ভিন রাজ্যে বেকার অবস্থায় আটকে রয়েছেন তারাও যেন নিশ্চিন্তে যেন তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন সে কারণে নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল সংযোগ খুবই জরুরী।

গতকাল অর্থাৎ রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া মোবাইল সংস্থাগুলিকে এই চিঠি দিয়ে বিনামূল্যে ফ্রী ইনকামিং আউটগোয়িংয়ের আর্জি জানালেও টেলিকম সংস্থাগুলির বর্তমান যে অবস্থা তাতে এই আর্জিতে তারা কতটা সাড়া দেয় তাই এখন দেখার।