After 77 years of independence, the national flag of India was hoisted in this village: প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকার পর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট স্বাধীন হয় আমাদের ভারত। উত্তোলন করা হয় ভারতের জাতীয় পতাকা (National Flag)। মাঝে অশোক চক্র যুক্ত তিন রঙের পতাকা আমাদের ভারতীয় দের কাছে এক গর্বের প্রতীক। যে কোনো দেশাত্ববোধক অনুষ্ঠানেই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের মধ্যে এমন একটি স্থান আছে যেখানে স্বাধীনতার এতো বছর পর প্রথমবার উত্তোলন করা হলো দেশের জাতীয় পতাকা।
দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় থেকে নয়, স্বাধীনতার এত গুলি বছর পর দেশের জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়ল সুকমার পুবর্তি গ্রামে। জানা যায় এই এলাকাটি সম্পূর্ন ভাবে ছিল মাওবাদী পরিচালিত। মাওবাদী দের শাসিত এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে রীতিমত ভয় পেতেন পুলিশ বাহিনী ও। মাওবাদীরা সমান্তলার সরকার চালাত এই গ্রামে। সেই গ্রামেই স্বাধীনতার এতো বছর পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলো। এ যেন দেশের আরো একটি ইতিহাস ই বলা চলে।
পুবর্তি অঞ্চলটি অবস্থিত সুকমা ও বিজাপুর জেলার সীমানায়। এটি মাওবাদীদের স্বঘোষিত গেরিলা কমান্ড্যার হিদমার গ্রাম নামেও বিশেষ ভাবে পরিচিত। এই স্থান থেকেই চলতো মাওবাদী দের সমস্ত কার্যকলাপ। মাওবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার ও হামলা চালানোর সমস্ত কৌশল সাজাত এই স্থান থেকেই। সমস্ত রকম হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হতো এখানে।
আরও পড়ুন ? বাইক, গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! হতে পারে ৩ বছর জেল
মাওবাদী দের এই সব কার্যকলাপ গুলি রুখতে ও গ্রামবাসী দের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য সেখানেই ঘাঁটি তৈরি করছে নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার এই গ্রামের সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিআরপিএফ ও পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা। সেখানে ঘাঁটি তৈরি করেছিলেন তারা। এবং সেই ঘাঁটি থেকেই পথচলতি সকল মানুষের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে।
সুকমার পুলিশ সুপার এই গ্রামে গিয়ে হিদমার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে সব রকম ভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দেন এবং গ্রামবাসীদের অনুরোধ জানান মাওবাদী কার্যকলাপ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। সব সরকারি পরিষেবা তারা কি ভাবে পাবেন সে কথাও বিস্তারিত ভাবে তাদের জানান পুলিশ সুপার। আর সেখানেই উত্তোলিত হয় দেশের জাতীয় পতাকা (National Flag)।