Navanna has great plans for the promotion of state government employees: সরকারি কর্মীদের (Government Employees) মধ্যে বৈষম্যের অবসান ঘটাতে পুজোর আগে উদ্যোগী হল নবান্ন। রাজ্য সরকারের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হয় তার চেয়ারম্যান। রাজ্য সরকারের তৈরি করা উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীকে। পাশাপাশি কমিটিতে রয়েছেন অর্থ এবং পার্সনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত সচিব, পূর্ত দপ্তরের যুগ্ম সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের যুগ্ম অধিকর্তা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিভিন্ন কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিদেরও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কি বলছেন নবান্নের কর্তারা? সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য হয় এ কথা সত্য। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য প্রশাসন চলে থ্রি-টায়ার সিস্টেমে। একেবারে শীর্ষে রয়েছে সেক্রেটারিট। তার নীচে রয়েছে ডাইরেক্টরেট এবং রিজিওনাল অফিস। সেক্রেটারিয়েটের কর্মীরা (Government Employees) সবথেকে বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করে। সেক্রেটারিয়েট বিভাগে পদের সংখ্যা প্রচুর সেই কারণে চাকরির সুযোগও প্রচুর। কিন্তু তুলনামূলকভাবে ডাইরেক্টরেট এবং রিজিওনাল অফিসের কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ কম।
নবান্নের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হয়েছে এই বৈষম্য দূরীকরণের জন্য। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন রকম বৈষম্য দূর করা হবে এবং সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে। নবান্নের খবর অনুযায়ী, সেক্রেটারিয়েট দপ্তরে স্পেশাল সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ (Government Employees) রয়েছে।
সাধারণ সরকারি কর্মীদের (Government Employees) বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো, যেমন – লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক থেকে আপার ডিভিশন ক্লার্ক, তারপর হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেখান থেকে সেকশন অফিসার অথবা রেজিস্ট্রার পদে উন্নীত হতে হয়। পরবর্তী ধাপে তারা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং স্পেশাল সেক্রেটারি পদে প্রমোশন পাচ্ছেন। তারপর সেখান থেকে ডাইরেক্টরেটে হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং তারপর বড়জোর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। রিজিওনাল অফিসের একজন হেড ক্লার্ক খুব বেশি হলে অফিস সুপারিন্টেডেন্ট হতে পারেন। সেক্রেটারিয়েট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে এবং ডাইরেক্টরেট ও রিজিওনাল অফিসের কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যের কথা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন ধরনের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। অবশেষে পুজোর আগেই হতে চলেছে তার সমাধান।
বিষয়টি নিয়ে বহুবার কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্যই নবান্নের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হয়। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছেন যে, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ইতিমধ্যে ডিএ নিয়ে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে তাতে কিছুটা প্রলেপ দিতে পারে নিচু তলার কর্মচারীদের পদোন্নতি। তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, এই বিষয় নিয়ে তারা অনেকদিন আগে থেকেই প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা বরাবরই চায় পদোন্নতি নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে যাতে কোন রকম বৈষম্য না থাকে। সেক্রেটারিয়েট বিভাগে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার স্টাফ আছে। আর রিজিওয়াল এবং ডাইরেক্টরেট স্টাফ আছে আড়াই লাখ। তাই তাদের কথা ভেবে এবং সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যই সরকারের এই সিদ্ধান্ত।