NCERT: ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে আসছে এক নতুন বিপ্লব! ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে এমন এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ফলাফলে গভীর প্রভাব ফেলবে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষার রেজাল্টে অন্তর্ভুক্ত হবে নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণীর প্রাপ্ত নম্বর। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতে চলেছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ, যেখানে প্রতিটি বছরের পড়াশোনার ফল তাদের শেষ রেজাল্টকে নির্ধারণ করবে।
কেমন হবে নম্বরের ভাগ?
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) এর ঘোষণা অনুসারে, ২০২৫ সাল থেকে নবম শ্রেণী থেকে ১৫%, দশম শ্রেণী থেকে ২০%, এবং একাদশ শ্রেণী থেকে ২৫% নম্বর যুক্ত হবে দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইনাল রেজাল্টের সঙ্গে। অর্থাৎ, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শ্রেণীতে ভালো নম্বর তুলতে হবে, কারণ এই নম্বরগুলো দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এই পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনই একটি নতুন সুযোগ, যেখানে শুরু থেকেই পড়াশোনার গুরুত্ব বাড়বে।
শিক্ষার মানের সমতা আনতে PARAKH রিপোর্ট
ভারতের বিভিন্ন বোর্ডের মধ্যে শিক্ষার মানকে একত্রিত করে সমান করতে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। PARAKH (Performance Assessment, Review, and Analysis of Knowledge for Holistic Development) রিপোর্টের ভিত্তিতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক মূল্যায়নে সহায়ক হবে। শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার উপর নির্ভর না করে, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি ক্লাসের পারফরম্যান্সকে বিবেচনা করা হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিশা: পড়াশোনা ছাড়াও বিশেষ বিষয়ের গুরুত্ব
এই নতুন শিক্ষামূলক পরিবর্তন কেবল নম্বরের উপর সীমাবদ্ধ থাকছে না। ভারতের শিক্ষামন্ত্রক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ডেটা ম্যানেজমেন্ট, কোডিং, এআই, মিউজিক এবং শিল্পের মতো বিষয়গুলোকে শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল এবং দক্ষভাবে বড় হতে পারে। পাশাপাশি, বিদ্যালয়গুলিতে নিরাপদ পানীয় জল, লাইব্রেরি এবং খেলার সুবিধার উন্নতিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: DA নিয়ে নতুন করে কবে সুখবর পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা
রাজ্যগুলো কী সিদ্ধান্ত নেবে?
এনসিইআরটি এর এই নতুন নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্যগুলির প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বেশ কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই তাদের নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে, যা ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির মডিফিকেশনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এখন, রাজ্য শিক্ষা দপ্তরগুলো কীভাবে এই নতুন নিয়মকে মান্যতা দেয় এবং তার নিজস্ব শিক্ষাপদ্ধতিতে কী পরিবর্তন আনে, তা সময় বলবে।
এনসিইআরটি এর এই পদক্ষেপ শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে, যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বছর কঠোরভাবে মূল্যায়ন করা হবে এবং তা চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিফলিত হবে।