নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের ১৯টি প্রধান শহরকে নিয়ে মঙ্গলবার ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। যে রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছে মূলত দেশের নিরাপদ শহর হিসেবে তালিকায় থাকা শহরগুলির নাম। আর এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে একাধিক শহর রয়েছে যেখানে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে অপরাধের সংখ্যা কমেছে কলকাতায়।
এই অপরাধের সংখ্যা কমার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর প্রকাশিত এই তালিকায় দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে কলকাতা। প্রতিবছর ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তবে গতবছর দুর্ভাগ্যবশত কলকাতার রিপোর্ট সঠিক সময়ে না পৌঁছানোর দরুন তালিকায় নাম ছিল না। তবে চলতি বছর সঠিক সময়ে রিপোর্ট যাওয়া এবং দেশের মধ্যে নিরাপদ সহর হিসেবে তালিকার প্রথম স্থান অধিকার করার পরিপ্রেক্ষিতে খুশি লালবাজার এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর দ্বারা প্রকাশিত ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া ২০২০’ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ লক্ষের বিচারে কলকাতায় অপরাধের হার মাত্র ১২৯.৫। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি অপরাধ রয়েছে চেন্নাইয়ে। সেখানে এক লক্ষ জনসংখ্যায় অপরাধের হার ১৯৩৭.১। দিল্লিতে এই হার ১৬০৮.৬। আহমেদাবাদ এবং সুরাতে ১৩০০। মুম্বাইয়ে ৩১৮.৬।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৬৮২। তবে পরবর্তীকালে এই অপরাধের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। ২০১৯ সালে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৩২৪ এবং ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫১৭। কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা কমার পাশাপাশি কমেছে নারীদের উপর অত্যাচারের সংখ্যা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর কলকাতায় পণের বলি হয়েছেন মাত্র ৯ জন।
অথচ এই সংখ্যাটা দেশের অন্যান্য শহরে ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। দিল্লিতে এই সংখ্যাটা ১১১, লখনৌয়ে সংখ্যাটা ৪৮, কানপুরে ৩০। শ্লীলতাহানীর ঘটনায় গত বছর কলকাতায় সংখ্যাটা হলো ৩০৪। অথচ দিল্লী, মুম্বাইয়ে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ১ হাজার ৮০৫ এবং ১ হাজার ৫০৯।