নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরি পেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন প্রতিটি শিক্ষিত যুবক যুবতীদের মধ্যে রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তারা বিভিন্ন কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। এই সকল কারণের মূলে রয়েছে নম্বর। অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় পরীক্ষার্থীরা মেধাবী হয়েও নিজেদের লক্ষ্যের নম্বরে পৌঁছাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম অনুসারে নিজেদের প্রমাণ করার দুবার সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসকল রদবদল এনেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা NCTE, তাতে চাকরি প্রার্থীরা স্নাতক স্তরে ৫০% নম্বর না পেয়ে থাকলেও পরবর্তীতে স্নাতকোত্তরে বিএড প্রসঙ্গ ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকলে ওই চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেটে বসতে পারবেন।
এর পাশাপাশি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এডুকেশন টিচার এবং শারীর শিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য স্নাতকোত্তরে ৫৫% নম্বর এবং ৩ বছরের ইন্ট্রিগ্রেটেড বি.এড- এম. এড প্রশিক্ষণ থাকলেই আবেদন করা যাবে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীদের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এবার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ও টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে এমনটাই চিন্তাভাবনা করছে NCTE। পাশাপাশি এই সকল নতুন নিয়ম সংক্রান্ত তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।
এই প্রসঙ্গে আরও বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ২১ জেলার কাউন্সিলের চেয়ারপারসনের বদল করা হয়েছে। এই সকল জেলাগুলি হল কলকাতা, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম।