করোনা ভাইরাস রুখতে কত ডিগ্রিতে AC চালাবেন জানিয়ে দিলো কেন্দ্র

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।আর এই বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে করোনা অন্যদিকে আর্থিক সংকট এই দুইয়ের যাঁতাকলে বীতশ্রদ্ধ আমজনতা। তবে এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একের পর এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেসকল নির্দেশিকা দেশের নাগরিকদের মেনে চলা আবশ্যিক। এসকল নির্দেশিকার মধ্যে কেন্দ্র সরকার নতুন করে আরও একটি নির্দেশিকা জারি করল, যা হলো এসির তাপমাত্রা নিয়ে।

Advertisements

Advertisements

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপমাত্রার প্রয়োজন। আর এই তাপমাত্রা সম্পর্কে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ সবথেকে কম ছড়ায় ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। তাই বাড়িতে এসি চালানোর ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা বজায় রাখার অনুরোধ করেছে কেন্দ্র।

Advertisements

ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার ইঞ্জিনিয়ার্সদের সঙ্গে মিলিতভাবে কেন্দ্র একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। যে গাইডলাইনে তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতার কথাও বলা হয়েছে। অ্যাডভাইজরি এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এসির আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ থাকা উচিত। এই সকল অ্যাডভাইজরি তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজ করছে একটি টাস্ক ফোর্স। যেখানে কাজ করছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ রুখতে কি ধরনের তাপমাত্রা, আবহাওয়ার আদর্শ প্রয়োজন তা নিয়ে চলছে গবেষণা। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এই অ্যাডভাইজরি তৈরি করা হয়েছে।

এসি চালানোর ক্ষেত্রে এই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, বাড়িতে এসি চালানো হলেও জানলা কিছুটা হলেও খুলে রাখতে হবে। যাতে করে ভিতরে ঠান্ডা হওয়া সার্কুলেশনের সাথে সাথে বাইরের হাওয়া প্রবেশ করতে পারে। আর এমনটা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব জরুরী। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখতে হবে আপেক্ষিক আদ্রতা যেন ৪০ শতাংশের নিচে না নামে।

শুধু এসি চালানোর ক্ষেত্রেই নয়, ফ্যান চালানোর ক্ষেত্রে অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, ফ্যান চালানোর সময় যেন জানলা হালকা খুলে রাখা হয়। বাইরের বাতাস বাড়িতে ঢোকা অর্থাৎ বাতাসে সার্কুলেশন খুব প্রয়োজন। যাতে করে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে। বদ্ধ ঘরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি বলে মতামত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements