নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার হুগলির ইটাচুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী কিশোরী চাঁদনী হেমব্রম সম্পূর্ণ খালি গলায় নেহা কক্করের ‘ও হামসফর’ গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন। দেশজুড়ে যখন লকডাউন চলছে তখন তার বেশ কয়েকটি গান ভাইরাল হয়। গানগুলি ভাইরাল হওয়ার পরেই ওই আদিবাসী কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন বলিউডের তাবড় তাবড় শিল্পীরা। তাদের হাত ধরেই বলিউডে পাড়ি দেন ওই কিশোরী। আর এই কিশোরীর বলিউডে পাড়ি দেওয়ার পিছনে রয়েছে দুর্গাপুর ও হুগলির দুই শিক্ষক চিরঞ্জিত এবং শ্যাম হাঁসদা।
চাঁদমনি হেমব্রম হুগলির ইটাচুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুলটি গ্রামের বাসিন্দা। সে হুগলির সারদেশ্বরী কন্যা বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। ছোট থেকেই বাবাকে হারিয়ে খুবই দারিদ্র্যের সঙ্গে তাদের সংসার চলে। সংসারের হাল ধরতে মা মালতি হেমব্রমের সাথে সংসারের কাজ ছাড়াও অন্যান্য সমস্ত রকম কাজ করতে হয়। পরিবারে চাঁদমনি ছাড়াও তার রয়েছে আরও দুই বোন। লকডাউন চলাকালীন জুন মাসে চাঁদমনির গান ভাইরাল হওয়ার পর পাঞ্জাবের খ্যাতনামা শিল্পী আয়সান আদ্রির মিউজিক পরিচালনায় চাঁদমনির কণ্ঠে রিলিজ হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল ‘জুদাইয়া বে’ গানটি।
আর সেই গানের টিজার ইতিমধ্যেই রিলিজ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিজার রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে সেটিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। আর এবার চাঁদমনি হেমব্রমকে দেখা গেল একটি বাংলা গানের অ্যালবামে নিজের কণ্ঠ দিতে।
ভিডিও অ্যালবাম সহ সেই বাংলা গানটি ২৪শে জুলাই রিলিজ হয়েছে ইউটিউবে। আর ইতিমধ্যেই মাত্র ৬ দিনের মধ্যে এই গানের ভিডিও ভিউ হয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজারের কাছাকাছি। বলাই বাহুল্য চাঁদমনি হেমব্রম মাত্র ১৬ বছর বয়সে গানের জগতের সেনসেশন হয়ে উঠেছেন। আর তার অনুরাগীরা চাঁদমনির ভবিষ্যৎ যেন আরও উজ্জ্বল হয় সেই প্রার্থনাই করতে শুরু করেছেন।
সদ্য চাঁদমনি হেমব্রমের যে বাংলা গানের ভিডিও অ্যালবামটি রিলিজ হয়েছে সেটি হল ‘ভালোবেসেছি তাই হেরেছি’। গানটিতে চাঁদমনি হেমব্রমের বিপরীতে গলা দিয়েছেন সন্দীপন মুখার্জি। লিরিক্স এম.এ. আলম শুভোর, মিউজিক সন্দীপন মুখার্জির এছাড়াও রয়েছেন অন্যান্যরা।