বদলে যাবে দেশের আইন ব্যবস্থা! অমিত শাহের বড় প্রস্তাব, উপকৃত হবেন আপনিও

নিজস্ব প্রতিবেদন : সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশন চলার সময় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দেশের আইন ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। এই সকল প্রস্তাব অনুমোদন পেলে এবং তা পাশ হলে দেশের আইন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই আইন ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি তিনটি বিল পেশ করেছেন। সেই সকল বিল পাস হলেই পরিবর্তন আসবে আইন ও বিচার ব্যবস্থায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সবচেয়ে বড় যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা হল দেশ থেকে পুরোপুরি ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার। মূলত ভারতীয় দণ্ডবিধি, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ও ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে তিনটি বিল পেশ করেন তিনি। এই সকল বিলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাষ্ট্রদোহ আইন উৎখাত করা হবে বলে জানিয়েছেন। এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে মূলত আইন ব্যবস্থায় ব্রিটিশদের ছোঁয়াকে পুরোপুরিভাবে উৎখাত করার জন্য।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, “১৮৬০ থেকে ২০২৩ সাল অবধি দেশের অপরাধমূলক বিচার প্রক্রিয়া ব্রিটিশদের তৈরি আইনের উপরে ভিত্তি করেই হত। এই নতুন তিনটি বিল দেশের বিচারব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রদ্রোহের মতো কোনো আইন থাকতে পারেনা।” প্রথমে এই আইনে দোষী সাবস্তদের পাঠানো হতো সাগর পাড়ে এবং পরে তা সংশোধন করে সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

মূলত ব্রিটিশ আমলের তিনটি আইনের পরিবর্তে যে সকল আইনগুলি আনার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে সেগুলি হল ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (Indian Penal Code), ১৮৬০-র পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (Code of Criminal Procedure), ১৮৫৮-র পরিবর্তে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট (Indian Evidence Act), ১৮৭২-র পরিবর্তে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন আনা হবে।

বিচারব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশন করা হবে এবং এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যে সকল বিচারব্যবস্থায় ন্যায় পেতে দেরি হচ্ছে তার দ্রুত সমাধান হবে। আগে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে কেবলমাত্র হাজিরা হতো, এবার এক্ষেত্রে শুনানিও হবে। পুলিশের বিভিন্ন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে নির্দোষ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর যে অভিযোগ তোলা হয় তাতে লাগাম টানার জন্য ভিডিওগ্রাফি করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যাতে এফআইআর করা যায় তার জন্য চালু হচ্ছে ই-এফআইআর।