নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন বছরে করোনার মতো অতিমারিকে দূরে সরিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিলেন অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখলেও কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না করোনা। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের নতুন করে উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করেছে করোনার নতুন স্ট্রেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন গুণেরও বেশি।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬। কিন্তু ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ালো ২০। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জন করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সবথেকে উল্লেখযোগ্য এই ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটেনের ফেরত এক কলকাতার বাসিন্দা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রিটেন ফেরত যে ২০ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেন ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে এনসিডিসি দিল্লিতে নমুনা পাঠানো হয়েছিল ১৪টি, যার মধ্যে ৮ জন আক্রান্ত। এনআইবিজি কল্যাণীতে (কলকাতা সংলগ্ন) নমুনা পাঠানো হয়েছিল ৭টি, যার মধ্যে আক্রান্ত ১ জন। এনআইভি পুনে, যেখানে নমুনা পাঠানো হয়েছিল ৫০টি। সেখান থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেরিয়েছে ১। এনআইএমএইচএএনএস, যেখানে নমুনা পাঠানো হয়েছিল ১৫ টি, আক্রান্ত ৭। সিসিএমবি, এখানে ১৫ টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট আসছে দেখা যায় আক্রান্ত ২। এছাড়াও আইজিআইবিতে ৬ টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য, সেখানেও আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় এইভাবে তিন গুণের বেশি নতুন করোনা স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে দেশবাসীদের মধ্যে। তবে আশার আলো এটাই যে এই সকল আক্রান্তরা প্রত্যেকেই ব্রিটেন ফেরত।
#COVID19: Total 20 UK returnees to India have tested positive for the new COVID strain so far
— ANI (@ANI) December 30, 2020
অন্যদিকে কলকাতায় যান শরীরে নতুন করোনার স্ট্রেন ধরা পড়েছে তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরেরই এক আধিকারিকের ছেলে বলে জানা গেছে সূত্র মারফত। আক্রান্ত ওই ব্যক্তিগত ২০ ডিসেম্বর বিমানে করে বিলেত থেকে কলকাতায় ফেরেন। বিমানবন্দরের তার করোনা পরীক্ষা করা হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ থাকায় তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। তারপর বারংবার পরীক্ষার পর তিনি করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত বলে ধরা পড়েন। যদিও তার শরীরে কোন উপসর্গ নেই। অন্যদিকে তিনি আইসোলেশনে থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন।