নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের সময় থেকে দেশ দীর্ঘদিন লকডাউনে আবদ্ধ থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হওয়ার পথে। নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে আনলক পর্যায়ের পাঁচটি ধাপ জারি করা হয়। তবে ডিসেম্বর মাসে নতুন করে আনলকের পথে না হেঁটে কেন্দ্র সরকার কিছুটা হলেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
বর্তমানে দেশে কিছুটা হলেও সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। তবে এই সংখ্যা কমলেও এমনটা নয় যে করোনা দেশ ছেড়ে চলে গেছে। বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এমত অবস্থায় আরও সাবধানী পথে চলার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হলো কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জারি করা এই নির্দেশিকা আজ অর্থাৎ ১লা ডিসেম্বর থেকে জারি হচ্ছে এবং তা চলবে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই সময়সীমার মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হলো।
১) সংক্রমণের মাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন নাইট কার্ফু জারি করতে পারে। কনটেইনমেন্ট জোন এলাকায় লকডাউন জারি থাকবে। তবে কনটেইনমেন্ট জোন এলাকার বাইরে লকডাউন জারি করতে হলে কেন্দ্র সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে।
২) যে সকল রাজ্যের করণা আক্রান্তের রেট ১০ শতাংশের উপর সেই সকল রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভিড় এড়িয়ে চলার। সেজন্য শিফট ব্যবস্থায় অফিস চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩) কনটেইনমেন্ট জোন এলাকায় সমস্ত রকম বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের। কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরেও সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজকর্ম চালাচ্ছেন কিনা তাও দেখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের।
৪) স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদের উপর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি রাজ্যগুলিকে দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার ইত্যাদি করা না হলে রাজ্য সরকার নাগরিকদের ওপর কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি জরিমানা করতেও পারে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
৫) দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পণ্য এবং মানুষ যাতায়াতের জন্য কোন পাস লাগবে না।
৬) কনটেইনমেন্ট এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা রোগী চিহ্নিত করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।