নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। কেন এমনটা বলা হয়! কারণ প্রতিদিন ভারতীয় রেলের উপর ভর করে প্রায় এক কোটি মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ভারতীয় রেলের উপর যেমন ভর করে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি মানুষ যাতায়াত করে থাকেন ঠিক সেই রকমই লক্ষ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন হাওড়া রেল স্টেশন (Howrah Railway Station) থেকে যাতায়াত করে থাকেন। দেশে যে সকল ব্যস্ততম রেলস্টেশন রয়েছে তার মধ্যে হাওড়া একটি অন্যতম।
হাওড়া রেল স্টেশনের এমন গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এবার পূর্ব রেলের (Eastern Railway) তরফ থেকে এমন এক ব্যবস্থা আনা হলো, যাতে করে আর থাকা খাওয়া স্নান করা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এই সমস্তটাই হবে একেবারে ভিআইপি ভাবে। থাকার জন্য বাতানুকূল রুম থেকে শুরু করে নামিদামি খাবার এবং স্নানাগারের ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেল হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনে। তবে এর জন্য যাত্রীদের খরচ করতে হবে ঘন্টায় ৫০ টাকা।
সম্প্রতি পূর্ব রেলের তরফ থেকে দুটি বাতানুকূল ডরমেটরি খোলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ডরমেটরি খোলা হয়েছে কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য। যেখানে পাঁচটি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের জন্য আরও একটি ডরমেটরি খোলা হয়েছে এবং সেখানে আটটি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। হাওড়া রেল স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে এই ১৩টি রুমের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এখানে ১৩ টি রুমের এবং বেডের ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি করা হয়েছে বসে থাকার জন্য ব্যবস্থা। সমস্ত জায়গাই বাতানুকূল। এছাড়াও করা হয়েছে ফুড কোর্ট এবং স্নানাগার সহ একাধিক স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা। অনেকেই রয়েছেন যাদের ট্রেন ধরতে এসে দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই রয়েছেন যারা প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে অসুবিধার সম্মুখীন হন। এবার সেই সমস্ত যাত্রীদের জন্য রেলের এই ব্যবস্থা চরম উপকারে আসবে।
এর পাশাপাশি এখন হাওড়া রেল স্টেশনে গঙ্গার ধারেই একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে। যে রেস্তোরাঁটির দায়িত্ব রেলের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে এক ঠিকা সংস্থাকে। ওই রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ৪২ জন বসে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। হাওড়া রেল স্টেশনকে ঘিরে রেলের তরফ থেকে একের পর এক এমন পদক্ষেপ সাধারণ যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের চিন্তা অনেকটাই দূর করবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।