১ সেপ্টেম্বর চালু হচ্ছে দুয়ারে সরকার, মিলবে নতুন এই দুটি প্রকল্পের সুবিধা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি সুবিধা পেতে যাতে সরকারি অফিসের দরজায় বারবার দৌঁড়ে চটির তলা ক্ষয় হতে না হয় তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) তরফ থেকে চালু করা হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় তা রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই জানেন। এই ক্যাম্প বিভিন্ন এলাকায় বসে এবং সেখানেই সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারেন রাজ্যের বাসিন্দারা।

Advertisements

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ক্যাম্প করা হয়েছে। এবার সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন ক্যাম্প চালু হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এবারের ক্যাম্পেও মিলবে। এর পাশাপাশি এবারের ক্যাম্পে দুটি নতুন প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষেরা। নতুন দুটি প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সুযোগ করে দেওয়ার ফলে আর ওই দুটি প্রকল্পের জন্য ছোটাছুটি করতে হবে না।

Advertisements

নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু করা হবে। নির্ধারিত ওই দিনের মধ্যে কেবলমাত্র রবিবার এবং ছুটির দিন বাদে পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষেরা। গতবারের ক্যাম্পে যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী সহ ৩৩ টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া গিয়েছিল, ঠিক সেই রকমই এই সকল প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি বার্ধক্য ভাতা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন এই ক্যাম্পেই করা যাবে। ১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করার পর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই সকল আবেদনের ভিত্তিতে সুবিধা প্রদান করা হবে।

Advertisements

নতুন যে দুটি প্রকল্পের সুবিধা এবার দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে দেওয়া হবে তার মধ্যে বার্ধক্য ভাতা হলো ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের পেনশন দেওয়ার বন্দোবস্ত করা। এই প্রকল্পের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে নথি যাচাই করার পর উপযুক্ত আবেদনকারীকে সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে। সরকারি সুবিধা হিসাবে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পেনশন দেবে রাজ্য।

অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে প্রকল্প চালু করা হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি ডেটাবেস তৈরি হবে। রেজিস্ট্রেশন থাকা কোন পরিযায়ী শ্রমিক যদি অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান তাহলে তার পরিবার দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবে। এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়ে আহত হলে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে চিকিৎসার জন্য এবং যদি কোন পরিযায়ী শ্রমিকের অঙ্গহানি সহ অন্য কোন বড় ঘটনা ঘটে তাহলে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

Advertisements