বাংলাএক্সপি : বাংলার গা ঘেঁষে মিলল নতুন একটি সোনার খনির (Gold Mine) সন্ধান। নতুন এই সোনার খনির সন্ধান মিলতেই রীতিমতো সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই। সরকার বিষয়টি জানলেও সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতুহল আরও বাড়িয়েছে। কেননা এমন সোনার খনির সন্ধান পাওয়ার পর সরকার তা নিলামে তুলবে বলে জানিয়েছে। নিলামে তোলার ক্ষেত্রে ওই রাজ্যের সরকার প্রথম এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
কোথায় সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেল? নতুন ওই সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বাংলার পড়শী রাজ্য ওড়িশায়। যে এলাকায় এমন সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা একেবারেই পশ্চিমবঙ্গের গা ঘেঁষা। ওই রাজ্যের দেওঘর বা দেবাঘর নামে থাকা জেলার আরাস রাম পল্লী এলাকায় এমন সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যেখানে মাটির নিচে বিপুল পরিমাণে সোনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ওই এলাকার মাটির নিচে থাকা সোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার ওই সোনার খনি নিলাম করতে পারে বলে সূত্রের খবর। উড়িষ্যা রাজ্যের স্টিল ও খনি দপ্তরের মন্ত্রী বিভূতি জেনা জানিয়েছেন, প্রথম উড়িষ্যা সরকার ওই সোনার খনিকে নিলামে তুলতে চলেছে। গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Gold Price: ৪৪ টাকায় ১০ গ্রাম সোনা, তবে ৫ বছরে বেড়ে হয় দ্বিগুণ, এখন হাফ লাখের বেশি
জিএসআই তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে কেওনঝাড় জেলার গোপাউর, গাজীপুর এলাকায় প্রথম সোনার উপস্থিতি লক্ষ্য করেছিল। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ এবং ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সালে চালানো সমীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা অনুসন্ধানে এসেছিল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস বিধায়ক তারাপ্রসাদ বাহিনীপতির এই সংক্রান্ত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই উত্তর দিয়েছেন ওড়িশার মন্ত্রী বিভূতি জেনা।
উড়িষ্যার কেওনঝাড় ও ময়ূরভঞ্জ জেলার বেশ কিছু এলাকার মাটির নিচে সোনা মজুত রয়েছে এমনটা অনেক রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেবাঘরের একটি জায়গা, কেওনঝাড়ের চারটি এবং ময়ূরভঞ্জের চারটি জায়গায় এমন সোনা মজুত রয়েছে বলে আগেই অনুমান করা হয়েছিল। তবে এই সকল এলাকায় ঠিক কত পরিমাণ সোনা মজুত রয়েছে তা সম্পর্কে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এই সকল এলাকায় সোনা উত্তোলনের কাজ শুরু হলে এলাকার অর্থনৈতিক বদল আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সোনার খনির পরিপ্রেক্ষিতে ভাগ্য খুলবে বাংলার পড়শী রাজ্যের বলেই আশা করা হচ্ছে।