নিজস্ব প্রতিবেদন : জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই কাউন্সিলের সদস্যরা সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক জিনিসপত্র যেগুলি এতদিন করমুক্ত ছিল তাতে কর ছাড়ের সুবিধা তুলে নেওয়ার। এর ফলে এই সকল জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। নতুন এই দাম কার্যকর হবে আগামী ১৮ জুলাই।
মঙ্গলবার এবং বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পৌরহিত্যে এই বৈঠক হয়। প্যাকেটজাত এবং লেবেল সাঁটা খাদ্যের জিএসটির হার পরিবর্তনের পর্যালোচনা করে দেখার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিগোষ্ঠী। সেই সুপারিশ গ্রহণ করেছে জিএসটি পরিষদ। এই পরিষদের রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সদস্যরা।
এই বৈঠকের পর যে সকল খাদ্যদ্রব্যে জিএসটি ছাড়ছিল সেই সকল একাধিক খাদ্যদ্রব্যে জিএসটি লাগু করা হয়। প্যাকেটজাত এবং লেবেল সাঁটা খাদ্যের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। ফলে একাধিক জিনিসপত্রের দাম বাড়তে চলেছে।
যেসকল জিনিসপত্রের দাম বাড়তে চলেছে সেগুলি হল প্যাকেটজাত ও লেবেল সাঁটা দই, লস্যি, বাটারমিল্ক, মাংস (বরফে রাখা মাংস বাদে), মাছ, পনির, মধু, গুড়, আটা, মেসলিন ময়দা, শুকনো মাখনা ইত্যাদি। এযাবৎ ব্র্যান্ডেড ময়দা এবং চালে পাঁচ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হত। কিন্তু এবার থেকে ব্র্যান্ডেড না হলেও প্যাকেটজাত এবং লেবেল সাঁটা ময়দা ও চালের উপর জিএসটি ধার্য করা হবে। এছাড়াও প্যাকেটজাত ও লেবেল সাঁটা খাদ্যের (কর্নফ্লেক্সের মতো) উপর জিএসটি বসানো হচ্ছে।
জিএসটি কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের পর এই প্যাকেটজাত এবং লেবেল সাঁটা বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আগামী ১৮ জুলাইয়ের পর থেকেই পেতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নতুন করে মধ্যবিত্তদের উপর চাপ তৈরি করবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।