চতুর্থ দফায় লকডাউনে কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়, জারি হলো নির্দেশিকা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মোকাবিলায় দেশের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লকডাউন বাড়ার বিষয়ে। সেইমতো তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ জারি হয়। চতুর্থ দফার লকডাউন চলবে আগামী ৩১ শে মে পর্যন্ত। চতুর্থ দফার লকডাউন জারি করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা হলো নয়া নির্দেশিকা। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল চতুর্থ দফার লকডাউনে কি কি খোলা হবে অথবা কি কি বন্ধ রাখা হবে।

Advertisements

Advertisements

চতুর্থ দফার লকডাউনে যেগুলি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে

Advertisements

১) চতুর্থ দফার লকডাউন নিয়ে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম বিমান পরিষেবা। বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম মেট্রো রেল পরিষেবা। একমাত্র চালু থাকবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। তবে তা চলবে প্রশাসনিক নির্দেশের ভিত্তিতে। অন্যদিকে চালু থাকবে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ও সদ্য চালু করা বিশেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলি।

২) সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার ইত্যাদি। পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনলাইনে পরিষেবা বজায় থাকবে।

৩) হোটেল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি সবকিছুই পুরোপুরি ভাবে বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র খোলা থাকবে সেই সকল হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলি যেগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের রাখা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

৪) প্রশাসনিক অনুমতি সাপেক্ষে সিনেমা হল, শপিং কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, জিম, অডিটোরিয়াম, পার্ক, বার, থিয়েটার ইত্যাদি খোলা যাবে। তবে এগুলি খোলা গেলেও দর্শক অথবা গ্রাহকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ এগুলি কেবলমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খোলা যেতে পারে।

৫) সমস্ত রকম সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদন, ক্রীড়া সংক্রান্ত জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

৬) বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থান।

৭) রাত্রি সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত সমস্ত রকম যাতায়াত বন্ধ।

কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলছে চতুর্থ দফার লকডাউনে

১) চতুর্থ দফার লকডাউন বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ছাড় মিলেছে। তবে সে ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। ৫০ জনের বেশি অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা যাবে না।

২) রাজ্যের মধ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে বাধা থাকছে না। রাজ্যগুলির নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা চালু করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কনটেইনমেন্ট জোনকে বাদ দিয়ে এই পরিষেবা চালু হতে পারে।

২) যে কোন রাজ্য সরকার রাজ্যের মধ্যে বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কি নিয়ম জারি করা হবে তার রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করছে। তবে এক্ষেত্রে কনটেইনমেন্ট জোনকে এড়িয়ে চলতে হবে।

৩) স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মেনে রাজ্যের মধ্যে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

৪) এছাড়াও তৃতীয় দফার লকডাউন চলাকালীন ৩৩% কর্মীদের নিয়ে অফিস খোলা এবং চারচাকা গাড়িতে দুইজন ও দুই চাকার বাইকের একজন করে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল তা চতুর্থ দফার লকডাউন অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে এদিন জানানো হয়েছে কনটেইনমেন্ট, বাফার, রেড, অরেঞ্জ, গ্রীন জোনের পরবর্তী সংজ্ঞা ঠিক হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দ্বারা ধার্য করা বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে।

Advertisements