নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল থেকে রাজ্যে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়। এরপর বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর নতুন করে একটি নির্দেশিকা জারি করেন। তবে সেই নির্দেশিকায় একাধিক সংশোধন করা হলো।
সংশোধনের পর নির্দেশিকা
১) সরকারি অফিসগুলিতে ৫০% হাজিরা। বাকিদের রোটেশন অনুযায়ী ডিউটি দিতে হবে।
২) বেসরকারি অফিস অথবা সংস্থার ক্ষেত্রেও ৫০% কর্মীদের নিয়ে কাজ চালাতে হবে। বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে ৫০% উপস্থিতিতে চালাতে হবে কল কারখানা, চা বাগান এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান।
৩) সরকারি ছুটি বাদে থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত। বাকি প্রতি শনিবার বন্ধ থাকবে এবং রবিবার স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধ।
৪) পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শপিংমল, কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্টুরেন্ট, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, স্পা, সুইমিং পুল।
৫) সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদন অথবা শিক্ষামূলক সমস্ত সমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে পরবর্তী নির্দেশকা জারি না হওয়া পর্যন্ত। ধর্মীয় ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ৫০ জনের সমাবেশ করা যেতে পারে তবে সেক্ষেত্রে কোভিড প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
৬) বাজার ঘাট এবং স্ট্যান্ড-অ্যালোন দোকানপাট খোলা থাকবে সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা এবং বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। গয়নার দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত।
তবে ওষুধের দোকান, মুদিখানার দোকান, দুধ, মাছ, মাংস, মিষ্টি ইত্যাদির দোকান সব সময় খুলে রাখা যাবে। আংশিক লকডাউন চললেও পরিষেবা ব্যাহত হবে না অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায়, ইলেকট্রিসিটি, টেলিকম এবং মিনিসিপালটি পরিসেবায়। এছাড়াও অনলাইন পরিষেবার এবং হোম ডেলিভারি পরিষেবা সচল থাকবে।
৭) RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া আগামী সাত মে থেকে বিমানে কোন যাত্রীকে রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একইভাবে ট্রেনে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও রিপোর্ট নেগেটিভ লাগবে।
৮) নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর আপাতত ১৪ দিনের জন্য রাজ্যে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে।
[aaroporuntag]
৯) গণপরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০% যাত্রী নিয়ে।