Kolkata Bangladesh New Bus Route: সহজ হচ্ছে বাংলাদেশ ভ্রমণ, মমতার সায়ে চালু হতে চলেছে নতুন রুটে বাস পরিষেবা

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক দিক দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ (India Bangladesh) ২ প্রতিবেশী দেশ হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কও গভীর। বাণিজ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা, পড়াশুনা, ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য বহু নাগরিকরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। একদিকে যেমন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা, পড়াশুনা, ভ্রমণের জন্য বহু নাগরিকরা ভারতে এসে থাকেন, ঠিক সেই রকমই আবার ভ্রমণ থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বহু ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশ যাতায়াত করেন।

এই সকল বিভিন্ন ক্ষেত্রের দিকে তাকিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন গভীর হচ্ছে। এই সম্পর্ক আরো গভীর হতে চলেছে মূলত দুই দেশের মধ্যে রেল ট্রানজিট চালু হওয়ার ফলে। যে রেল ট্রানজিট চুক্তির মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে ট্রেন চালাবে। এরই মধ্যে আবার আরো একটি সুখবর এসে পৌঁছালো আর সেই সুখবরটি হলো কলকাতা থেকে বাংলাদেশে নতুন রুটে শুরু হতে চলেছে নতুন বাস পরিষেবা (Kolkata Bangladesh New Bus Route)।

এমনিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট পাঁচটি রুটে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী এবং দুটি পণ্যবাহী। এছাড়াও সড়কপথে একাধিক বাস দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এবার সেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সায়ে কলকাতা ও চট্টগ্রামের মধ্যে শুরু হতে চলেছে নতুন বাস পরিষেবা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়ে যোগাযোগের দিক দিয়ে এমন নতুন দিগন্ত খুলে দিলেন।

আরও পড়ুন 👉 WB Petrol Diesel Price: দুম করে বেড়ে গেল পেট্রোল ডিজেলের দাম, দেখে নিন এখন কোন জেলায় পড়বে কত?

চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে বাস পরিষেবা চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। ভারত সরকার নতুন এই রুটে বাস পরিষেবা চালুর বিষয়ে আগেই মোটামুটি ভাবে সম্মতি দিয়েই রেখেছিল। তবে পাকাপাকিভাবে সম্মতি দেওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে মতামত চাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে কোনরকম দ্বিমত না হয়ে সম্মতি দিয়ে দেন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন কলকাতা থেকে বাংলাদেশ বাস পরিষেবা চালু হওয়ার কেবল সময়ের অপেক্ষা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কলকাতা ও চট্টগ্রামের মধ্যে বাস চলাচলের সম্মতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন আরও সহজ হবে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত, ঠিক সেই রকমই আবার যত বেশি যোগাযোগ ব্যবস্থা উপলব্ধ হবে ততই ভাড়া কমবে এমনটাই আশা করা যায়। তবে এই মুহূর্তে সম্মতি দিয়ে দেওয়া হলেও ঠিক কবে থেকে নতুন এই বাস পরিষেবা চালু হবে তা সম্পর্কে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।