লাল্টু : পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। অন্ততপক্ষে বিরোধীরা বারংবার এমনই অভিযোগ তুলে থাকেন। আবার এই দুর্নীতির জন্য সবসময়ই দায়ী করা হয়ে থাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা বারবার এই সকল দুর্নীতির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন ‘পিসি ভাইপো’কে। বিরোধীদের বারংবার প্রশ্নে যখন সরগরম রাজ্য ঠিক সেই সময় নতুন কাকা ভাইপোর হদিস মিলল বীরভূমে (Birbhum)।
বীরভূমে এমন নতুন কাকা ভাইপোর হদিস পাওয়া গিয়েছে মূলত একটি পোস্টারকে ঘিরে। বৃহস্পতিবার লাল কালিতে লেখা এমন একটি পোস্টারের হদিস পাওয়া যায় দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুলুপাড়ায়। সেখানে যে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার রয়েছে সেই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে প্রবেশের ঠিক মূল গেটে এমন পোস্টারটি দেখতে পাওয়া যায়। সেই পোস্টার ঘিরে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
লাল কালিতে লেখা ওই পোস্টারে মূলত তুলে ধরা হয়েছে আবাস যোজনার বাড়ির দুর্নীতি। যেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘৮টি বাড়ি নিল কে? কাকা ভাইপো আবার কে। পৌর পিতা জবাব দেন। যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা।’ এই পোস্টার সামনে আসতেই নতুন করে কাকা ভাইপো নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষদের একাংশ এই পোস্টারে যে দাবি করা হয়েছে তাকে সত্য বলেই জানিয়েছেন। তাদের দাবি, যেটা সত্য সেটাই এই পোস্টারে লেখা হয়েছে।
অন্যদিকে যে ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভাস্কর রুজ অবশ্য পোস্টারের দাবিকে মান্যতা দিতে চাননি। তিনি দাবি করেছেন, ক্ষোভের বসে কেউ এমনটা করে থাকতে পারেন। আবার কোন মাতালও এমন কাজ করে থাকতে পারেন। কারণ তার দাবি, এই ওয়ার্ডে সমস্ত কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। একইভাবে এমন পোস্টার কোন মাতালের লেখা বলেও দাবি করেছেন দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে। যদিও তিনি বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা দাবি করেছেন, “সারা রাজ্যে আমরা পিসি ভাইপোর কথা জানি, কিন্তু দুবরাজপুরে কে কাকা ভাইপো আছেন তা জানা নেই। এই উত্তর দিতে পারবেন এবং দিতে হবে দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানকে। তবে সারা রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতিটিকেই এই পোস্টারে কেউ বা কারা তুলে ধরেছেন।”