নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে নতুন শ্রমবিধি চালু হওয়া নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে। তবে এবার এই শ্রমবিধি আগামী জুলাই মাস থেকেই চালু হতে চলেছে এমনটাই জানা যাচ্ছে মানি কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদনে। এই নতুন শ্রমবিধি আগে চালু হওয়ার কথা থাকলেও সমস্ত রাজ্য খসড়া নীতি তৈরি করতে না পারার কারণে তা চালু হতে এখনও মাস তিনেক সময় লাগতে পারে। যদিও ইতিমধ্যেই ২৩টি রাজ্য এই খসড়া নীতি তৈরি করে ফেলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
নতুন এই শ্রমবিধি চালু হওয়ার ফলে টেক হোম স্যালারি অর্থাৎ হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমবে। তবে হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমলেও বাড়বে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা। সংস্থাগুলিকে এই নতুন শ্রমবিধি অনুসারে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বেশি টাকা দিতে হবে। ফলে অবসর পরবর্তী সময়ে যেকোনো কর্মীর হাতে টাকার পরিমাণ অনেক বেশি আসবে।
নতুন এই শ্রমবিধি অনুসারে কর্মচারীরা যে বেতন পান তার ৫০% হতে হবে বেসিক স্যালারি। এর ফলে কর্মচারীদের মাসিক ভাতা ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। অর্থাৎ এই ৫০ শতাংশের মধ্যেই থাকতে হবে ট্র্যাভেল অ্যালোওয়েন্স, হাউজ রেন্ট, ওভারটাইমের মতো যাবতীয় ভাতা। এর ফলে বেতন কাঠামোর আগাগোড়া পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পাশাপাশি পরিবর্তন করতে হবে কর্মীদের নিয়োগের সময় যে বেতনে নিয়োগের চুক্তি হয় অর্থাৎ সিটিসি বা ‘কস্ট টু কোম্পানি’-এর। এর পাশাপাশি বেতন সংক্রান্ত সংজ্ঞায় তিনটি বিষয় থাকতে হবে। যেগুলি হলো বেসিক পে (মূল বেতন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সেটির যোগ থাকবে), মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) এবং রিটেনশন পেমেন্ট। পাশাপাশি এই নতুন শ্রমবিধি অনুযায়ী দেশজুড়ে ন্যূনতম বেতন ঠিক করা হবে। এর ফলে উপকৃত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ সুবিধার কথা বলা হয়েছে এই শ্রমবিধিতে।
এর পাশাপাশি এই নতুন শ্রম ও বিধি অনুসারে কর্মীরা নিজেদের কাজের সময় বাড়িয়ে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি পেতে পারেন। কারণ সপ্তাহে কতক্ষণ কাজ করতে হবে তা নির্দিষ্ট করা থাকবে। সেক্ষেত্রে কোন কর্মী দৈনিক কত ঘন্টা কাজ করছেন তার ওপর নির্ভর করবে তার সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি। এক্ষেত্রে কোনো কর্মী যদি দিনে ১২ ঘন্টা কাজ করে থাকেন তাহলে তিনি সপ্তাহে তিন দিন ছুটি পাবেন। আবার কোন কর্মী যদি দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করে থাকেন তাহলে তিনি সপ্তাহে দু’দিন ছুটি পাবেন।