Prevention of Begging: ভারত বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ। যা জনগণনার হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয়। দেশের অর্থনীতির ক্রমাগত উন্নতি হলেও একটা বড় শতাংশের মানুষ এখনও জীবন নির্বাহ করেন ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে। তীর্থস্থান হোক বা পথে ঘাটে সর্বত্রই গোটা ভারত জুড়ে ভিক্ষুকদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে শুধুমাত্র এখানেই থেমে নেই ভারতের ভিক্ষাবৃত্তির পরিস্থিতি।
বিভিন্ন জায়গায় একাধিক চক্র কাজ করছে এর পিছনে। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভিক্ষুক সেজে টাকা চেয়ে ব্যবসা শুরু করেছে কিছু কিছু গোষ্ঠী। আবার কোথাও বা টাকা নিয়ে নেশাদ্রব্য কিনে আসক্ত হওয়ার মতো ঘটনাও বিদ্যমান। তাই আসলেই অসহায় মানুষদের সনাক্ত করে একাধিক সরকারি পরিষেবার মধ্যে আনা হয়েছে। এবার তাই ভিক্ষা দেওয়া বেআইনি (Prevention of Begging) ঘোষণা করা হলো রাজ্যের তরফে। এবার ভিক্ষে দিলেই হবে হাজত বাস আসলো নতুন নিয়ম।
ভিক্ষা দিলেই হবে FIR। এমনই কঠিন নিয়ম লাগু করা হলো ভারতের একটি শহরে। জানা যাচ্ছে ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকেই চালু হতে চলেছে এই নিয়ম। শহরে পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তি (Prevention of Begging)। এবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে ওই রাজ্যের প্রশাসন। সেই মতোই শীঘ্রই জারি হতে চলেছে নতুন নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন:5 Rupee Coin: RBI বাতিল করছে ৫টাকার ‘কয়েন’, আপনার কাছে থাকলে পড়তে হবে বিপদে
ইন্দোরের জেলা শাসক আশীষ সিং মহাশয় এদিন নিজে এই খবর জানিয়েছেন। জানা যাচ্ছে ডিসেম্বর মাস জুড়ে চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার। এরপর ১লা জানুয়ারি থেকেই ভিক্ষা দেওয়া একেবারে নিষিদ্ধ (Prevention of Begging) করে দেওয়া হয়েছে। এদিন থেকে কাউকে ভিক্ষা দিতে দেখা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হবে আইন লঙ্ঘনের FIR। এদিন জেলাশাসক শহরবাসীকে ভিক্ষা দিয়ে পাপের ভাগিদার হতে নিষেধ করেছেন।
গত কয়েক মাস ধরেই অভিযোগ ছিল যে ওই শহরে অসৎ দলেদের মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে জোর পূর্বক ভিক্ষা করিয়ে রোজগার করছিল। তাই এর সাথে যুক্ত একাধিক মানুষকে উদ্ধার করে তাদের কাউন্সেলিং করিয়েছে ইন্দোরের প্রশাসন।কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যায়বিচার এবং স্বশক্তিকরণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শহরের দশটি শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত (Prevention of Begging) করার প্রকল্প গহন করা হয়েছিল। যার মধ্যে প্রথম হিসেবে নাম লেখালো ভারতীয় শহর ইন্দোর।