Samudrayan Matsya-6000: চন্দ্রযান, সূর্যযান অতীত! এবার লক্ষ্য মহাসমুদ্র! দেখে নিন ভারতের প্রথম সমুদ্রযান

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

India’s new mission to uncover the mysteries of the deep is Samudrayan Matsya-6000: চন্দ্রযান, মঙ্গলযান, গগনযান, আকাশযান, ভূসম্পদ অনুসন্ধান যান, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ যান, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান যান, সামুদ্রিক রহস্য উদঘাটন যান—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের অর্জনের তালিকা দিনকে দিন দীর্ঘ হচ্ছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সমুদ্রযান মৎস্য-৬০০০ (Samudrayaan Mission)। এই সাবমেরিনটি ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে তিনজন ব্যক্তিকে নিয়ে সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে নামবে।

Advertisements

মৎস্য-৬০০০-এর (Samudrayaan Matsya-6000) নকশা ও নির্মাণের দায়িত্ব ছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO), জাতীয় সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (NIOT) এবং ভারতীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (IIT) মাদ্রাজের। সাবমেরিনটি ৮০ মিলিমিটার পুরু টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি। এটি জলের চাপের ৬০০ গুণ বেশি চাপ সহ্য করতে সক্ষম। সাবমেরিনটিতে একটি কেবিন রয়েছে, যেখানে তিনজন বিজ্ঞানী থাকতে পারবেন। কেবিনে রয়েছে শোবার জায়গা, খাবার ও পানীয় সরবরাহ, বাথরুম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সাবমেরিনটিতে প্রযুক্তিগতভাবেও অত্যন্ত উন্নত। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, সেন্সর, ড্রোন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি। এই যন্ত্রপাতিগুলির সাহায্যে বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের গভীরতায় থাকা জীববৈচিত্র্য, ভূতাত্ত্বিক গঠন, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অন্যান্য রহস্য উদঘাটন করতে পারবেন।

Advertisements

মৎস্য-৬০০০-এর (Samudrayaan Matsya-6000) পরীক্ষামূলক রান শুরু হবে ২০২৪ সালের প্রথম কোয়ার্টারেই। এই রানটি বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৫ সালের শেষদিকে সাবমেরিনটিকে ৬০০০ মিটার পর্যন্ত ট্রায়াল দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে তিনজন ব্যক্তিকে নিয়ে সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে নামবে মৎস্য-৬০০০।

Advertisements

এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সমুদ্রের গভীরতায় থাকা জীববৈচিত্র্য উদঘাটন করা।ভূতাত্ত্বিক গঠন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান করা। সমুদ্রের জলবায়ু ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা। সমুদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করা। মৎস্য-৬০০০-এর (Samudrayaan Matsya-6000) অভিযান ভারতের সামুদ্রিক গবেষণায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত বিশ্বের সামুদ্রিক গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। নিজে চেপে বসলেন তাতে এবং সাবমেরিনের ভিতরে বসার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, সেটাও শেয়ার করলেন দেশবাসীর সাথে। তিনি আরো বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘ব্লু অর্থনীতি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করবে এই অভিযান। এরফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিরেণ রিজিজু বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি, কর্মসংস্থান, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা। এটি সাধারণ সময়ে ১২ ঘণ্টা জলের তলায় থাকতে পারবে এবং মানুষের সুরক্ষার জন্য ৯৬ ঘণ্টা জলের নীচে থাকতে পারবে।

Advertisements