লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা নবান্নের, রইলো তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪ঠা মে থেকে রাজ্যের তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। নবান্নের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, ৪ঠা মে থেকে কনটেন্টমেন্ট জোন ছাড়া প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হবে। এই ছাড় দেওয়ার ফলে যদিও কিছুটা লকডাউন অমান্য করা হবে তবু কিছু করার নেই! একান্ত বাধ্য হয়েই এই ছাড় দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে। এমনটা স্পষ্ট করে বলে দেন রাজীব সিনহা। ছাড় দেওয়া তো হবে তবে তা কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনেই হবে। শর্তগুলি পালন না করলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও খারাপ আকার ধারণ‌ করতে পারে বলেও জানান রাজীব সিনহা।

তৃতীয় দফার লকডাউনে কি কি ছাড় দেওয়া হবে?

১) বাস পরিষেবা : নবান্নের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন ৪ঠা মে থেকে জেলার মধ্যে বাস পরিষেবা চালু হবে তবে এই বাসগুলিতে মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়েই যাতায়াত করতে পারবে। জেলার বাইরে বাস পরিষেবা কার্যকর হবে না। জেলার মধ্যে বেসরকারি বাস চলাচল করে, যে কারণে বেসরকারি বাস মালিকদের সাথেও কথা বলা হয়ে গেছে। যদিও বাস মালিকদের একাংশের বক্তব্য ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়, তাতে বাসের খরচ উঠবে না।

২) দোকান বাজার : লকডাউনের মধ্যে আমরা সবাই জানতাম যে, যে জিনিসগুলি আমাদের জীবনের অত্যাবশ্যকীয় সেই জিনিসগুলি দোকান খোলা থাকবে। তবে তৃতীয় দফার লকডাউন থেকে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন দোকান খোলাও থাকবে। তবে সেই দোকানগুলি আলাদা ভাবে থাকতে হবে অর্থাৎ কোন দোকান যদি কোন আবাসন বা বিজনেস কমপ্লেক্সের ভেতর হয় তাহলে সেই দোকান খোলা যাবে না। দোকান খুলল মানতে হবে সরকার নির্ধারিত যাবতীয় বিধি নিষেধ। দোকানের মধ্যে এবং দোকানের বাইরে ভিড় করা কোনমতেই যাবে না। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব।দোকান খোলার সময় হচ্ছে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা। মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে সন্ধ্যা ৭ টা অব্দি।

৩) বেসরকারি অফিস : বেসরকারি অফিস খোলার ক্ষেত্রে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। হ্যাঁ, তবে মেনে চলতে হবে সরকার নির্দেশিত যাবতীয় বিধি নিষেধ। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অব্দি বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। তবে এই বেসরকারি অফিসগুলি ২৫% কর্মী নিয়ে কাজ করবে। যদি কোন কর্মী অফিসে গাড়ি করে আসেন সে ক্ষেত্রে একটি গাড়ির মধ্যে সেই কর্মী এবং চালকের অতিরিক্ত তৃতীয় কোন ব্যক্তির উপস্থিতিকে নিষেধ করা হয়েছে অর্থাৎ গাড়ির মধ্যে দুজনের অতিরিক্ত থাকবে না।

৪) চায়ের দোকান : তৃতীয় দফার লকডাউন থেকে চা প্রেমীদের জন্য থাকছে একটি বড় সুখবর। এইবার থেকে খুলে যাচ্ছে চায়ের দোকানও। কিন্তু বলা হয়েছে চায়ের দোকানে বসে কেউ চা খেতে পারবেন না। চায়ের দোকান থেকে চা কিনে এনে বাড়িতে বসে চা খেতে হবে।

৫) গ্রামীণ এলাকাতে নির্মাণ জনিত কাজ শুরু করা যাবে জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে নির্মাণ কাজ শুরু করলে নজর রাখতে হবে যে শ্রমিকরা যেন বাইরে না যান অর্থাৎ সেখানেই থাকেন।

তবে এইসব ছাড় কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পাওয়া যাবে না। এছাড়াও যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে অত্যাবশ্যকীয় দোকান ছাড়া অন্য দোকান খোলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সম্মতিও প্রয়োজন।