নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর একাধিক নিয়মের পরিবর্তন এনেছে। আর এই সকল পরিবর্তনের মধ্যে নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবর্তন হলো রেশন ব্যবস্থা। পরিযায়ী শ্রমিক এবং অন্যান্যরা যাতে দেশের যে কোন রাজ্যের যেকোন প্রান্তে রেশন তুলতে পারেন, কোনভাবেই তারা যেন পেছন থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য আনা হয়েছে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ (One Nation One Ration Card) ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা দেশের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্য বাদে প্রতিটি রাজ্যের চালু হয়ে গেছে।
এই রেশন ব্যবস্থা আনার কারণ হিসাবে কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, নতুন এই পদ্ধতিতে দেশের যেকোনো নাগরিক যে কোন রাজ্যের যেকোন প্রান্তে তাদের রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারবেন রেশন দোকান থেকে। আর এই নতুন নিয়ম চালু করার পাশাপাশি বেশকিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই আরও নতুন কিছু নিয়ম এর সাথে জুড়ে দিয়েছে। সেসকল রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের মত উল্লেখযোগ্য দুটি রাজ্য। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে বাড়তি এই নিয়ম দেশের অন্ততপক্ষে নয়টি রাজ্য চালু করতে চলেছে। আর এই বাড়তি নিয়মের বহরেই নিয়ম না মানলে বাতিল হতে পারে রেশন কার্ড বলে সর্বভারতীয় বেশকিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে।
সর্বভারতীয় বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘এক দেশ এক রেশন’ ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি যেসকল রাজ্যগুলি বাড়তি নিয়ম চালু করেছে তাদের নিয়মে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি টানা তিন মাস রেশন কার্ড ব্যবহার না করে থাকেন অর্থাৎ রেশন কার্ড ব্যবহার করে খাদ্য সামগ্রী রেশন দোকান থেকে ক্রয় না করে থাকেন তাহলে তাদের কার্ড বাতিল হতে পারে।
যে সকল রাজ্যের তরফ থেকে এই রেশন কার্ড (Digital Ration Card) বাতিল করার নিয়ম চালু করা হয়েছে তাদের যুক্তি, কোন ব্যক্তি বা নাগরিকের টানা তিন মাস স্বল্পমূল্যে রেশন না কেনার অর্থ হলো সরকারের সাহায্য ছাড়াই তারা তাদের জীবনযাপনে সঙ্গতি আছে। খাদ্যশস্যের জন্য তাদের সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন নেই। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য রেশন কার্ডের সুবিধা বজায় রাখার জন্য তিন মাসে অন্তত একবার ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে স্বল্প মূল্যে পণ্য কিনতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই রেশন ব্যবস্থা দেশের কোটি কোটি মানুষের অন্নসংস্থানের বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছিল। টানা নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় এই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমেই। পাশাপাশি এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থাও কেন্দ্র সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা। কেন্দ্রের লক্ষ্য আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে ৬৭ কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত করা।