নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম। কাঁচা শাক সবজির দামের ক্ষেত্রেও রেহাই পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষেরা। তবে কাঁচা শাক সবজির ক্ষেত্রে খুচরো ও পাইকারি দামের ক্ষেত্রে বিশাল ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কাঁচা শাক সবজি বিক্রি করলেও রশিদ (Vegetables Selling Bill) দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হল।
কাঁচা শাক সবজির বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে খুচরো ও পাইকারি শাক সবজির ক্ষেত্রে দামে যে বিশাল ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই ফারাকে কিছুটা হলেও লাগাম টানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সস্তায় শাক-সবজি পাবেন সাধারণ গ্রাহকরা বলেও আশা।
কাঁচা শাকসবজি পাইকারি বা খুচরো যেকোনো ক্ষেত্রেই বিক্রি করার পর রশিদ দেওয়ার এমন নিয়ম অবশ্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত জায়গায় চালু হয়নি। আপাতত এমন নির্দেশ দিয়েছেন ধুপগুড়ি মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা। কাঁচা শাক সবজির দাম বৃদ্ধি দেখে তিনি আচমকা ধুপগুড়ি ও বানারহাট শহরের যে কাঁচা শাক সবজির বাজার রয়েছে সেখানে পরিদর্শনে যান এবং এমন নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : Sufal Bangla Stall: দাম বাড়লেও সস্তায় মিলবে শাকসব্জি! শুধু বেছে নিতে হবে এই ১১ জায়গা
কাঁচা শাক সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগেই টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সেই নির্দেশ মেনে বহু জায়গাতেই টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে এবং সেই মোতাবেক অভিযান চালানো হচ্ছে। ধুপগুড়ি ও বানারহাট শহরের কাঁচা শাক সবজির বাজারেও অভিযান চালানো হয়। আর এরই মধ্যে মহাকুমা শাসক এমন নির্দেশ দেন।
ধুপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা হঠাৎ সরকারি কাজের ফাঁকে ওই দুই বাজারে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং তিনি দেখতে পান পাইকারি ও খুচরো বাজারের দামের মধ্যে বেশ ফারাক রয়েছে। এমন ফারাক দেখার পরই তিনি প্রত্যেক কাঁচা শাকসবজি বিক্রেতাকে নির্দেশ দেন যাতে করে তারা শাকসবজি বিক্রির পর যেন ক্রেতাদের রশিদ দেয়। এই নির্দেশ না মানা হলে পাইকারি থেকে শুরু করে খুচরো সব ধরনের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা এমন ব্যবস্থার ফলে শাক সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছেন।