ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বার বাড়লো রান্নার গ্যাসের দাম, রইলো সিলিন্ডার প্রতি দাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগে প্রতি মাসের প্রথম দিনে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলির তরফ থেকে মাসের প্রথম দিনেই রান্নার গ্যাসের দাম প্রকাশ করা হতো। এরপর সেই দাম সারা মাস ধরে একই রাখা হতো। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাস থেকে এই নিয়মের পরিবর্তন ঘটেছে।

ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ রান্নার গ্যাসের নতুন দাম প্রকাশ করে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। এরপর আবার ১৫ তারিখ দ্বিতীয়বার নতুন দাম প্রকাশ করে। দুবার নতুন দাম প্রকাশের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় মূল্যবৃদ্ধির। আর জানুয়ারি মাসে দামের কোন পরিবর্তন না করলেও ফেব্রুয়ারি মাসে ডিসেম্বর মাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো।

প্রথম দফায় ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলি রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা। আর এর পর পুনরায় ১৫ তারিখ থেকে নতুন দাম লাগু হলো। ১৫ তারিখ থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি আরও ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি করা হলো।

আর এই নতুন করে ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধির ফলে ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কলকাতায় দাঁড়ালো ৭৯৫ টাকা ৫০ পয়সা। যা গতকাল পর্যন্ত ছিল ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। তবে কলকাতায় এখনও পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম ৮০০ টাকা পার না হলেও অনেক জেলাতেই এই দাম ৮০০ টাকা অতিক্রম করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের নতুন দাম

বাঁকুড়া : ৮০৭.৫০ টাকা, বীরভূম : ৮১৮.৫০ টাকা/ ৮২৭ টাকা, আলিপুরদুয়ার : ৮২২.৫০ টাকা, কোচবিহার : ৮২২.৫০ টাকা, দক্ষিণ দিনাজপুর : ৮৬৭.৫০ টাকা, দার্জিলিং : ৮২২.৫০ টাকা, হুগলি : ৭৯৮.৫০ টাকা, হাওড়া : ৭৯৭ টাকা, জলপাইগুড়ি : ৮২২.৫০ টাকা, ঝাড়গ্রাম : ৭৮৮ টাকা, কালিম্পং : ৯২৫ টাকা, কলকাতা : ৭৯৫.৫০ টাকা, মালদা : ৮৬৬.৫০ টাকা, মুর্শিদাবাদ : ৮১৩ টাকা, নদীয়া : ৭৯৬ টাকা, উত্তর ২৪ পরগনা : ৭৯৫.৫০ টাকা, পশ্চিম বর্ধমান : ৮০৯ টাকা, পশ্চিম মেদিনীপুর : ৭৮৮ টাকা, পূর্ব বর্ধমান : ৮০৯ টাকা, পুরুলিয়া : ৮২৪.৫০ টাকা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : ৭৯৫.৫০ টাকা, উত্তর দিনাজপুর : ৮৬৭.৫০ টাকা।

[aaroporuntag]
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ ২৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। আর এরপর পুনরায় ৫০ টাকা বৃদ্ধি করায় ফেব্রুয়ারি মাসে এখনও পর্যন্ত মোট মূল্য বৃদ্ধি পেল ৭৫ টাকা। আর বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এইভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সংসার চালানো নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে।