নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন মহার্ঘ হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেল থেকে অন্যান্য জ্বালানি। আর এমত অবস্থায় রক্ষে নেই রান্নার গ্যাসেরও। ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর প্রায়ই দেড় মাসের বেশি দাম একই থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ানো হলো রান্নার গ্যাসের দাম।
ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত কলকাতায় ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাসের দাম পরছিল সিলিন্ডার প্রতি ৭২০.৫০ টাকা। যা ৪ তারিখ থেকে পড়ছে ৭৪৫.৫০ টাকা। অর্থাৎ এক ধাক্কায় সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লো ২৫.৫০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার ভিত্তিতে এই দামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনার জেলায় কত পড়বে সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম।
চলতি মাসের প্রথম দিন সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশন হয়। বাজেটের দিনেই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল। তবে গৃহস্থালিদের জন্য ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দামের কোন পরিবর্তন করা হয়নি। যার পর অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো ফেব্রুয়ারি মাসেও জানুয়ারি মাসের মতো রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু বাজেট শেষ হওয়ার দুদিন পেরোতে না পেরোতেই সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো।
ভারতে প্রতিনিয়ত জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তার প্রভাব পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে। দিন দিন দিন বেড়ে চলেছে আনাজ থেকে অন্যান্য জিনিসপত্রের। এমত অবস্থায় দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির সংসার চালানো দুরূহ হয়ে পড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম
বাঁকুড়া : ৭৫৭.৫০ টাকা, বীরভূম : ৭৬৮.৫০ টাকা/ ৭৭৭ টাকা, আলিপুরদুয়ার : ৭৭২.৫০ টাকা, কোচবিহার : ৭৭২.৫০ টাকা, দক্ষিণ দিনাজপুর : ৮১৭.৫০ টাকা, দার্জিলিং : ৭৭২.৫০ টাকা, হুগলি : ৭৪৮.৫০ টাকা, হাওড়া : ৭৪৭ টাকা, জলপাইগুড়ি : ৭৭২.৫০ টাকা, ঝাড়গ্রাম : ৭৩৮ টাকা, কালিম্পং : ৮৭৫ টাকা, কলকাতা : ৭৪৫.৫০ টাকা, মালদা : ৮১৬.৫০ টাকা, মুর্শিদাবাদ : ৭৬৩ টাকা, নদীয়া : ৭৪৬ টাকা, উত্তর ২৪ পরগনা : ৭৪৫.৫০ টাকা, পশ্চিম বর্ধমান : ৭৫৯ টাকা, পশ্চিম মেদিনীপুর : ৭৩৮ টাকা, পূর্ব বর্ধমান : ৭৫৯ টাকা, পুরুলিয়া : ৭৭৪.৫০ টাকা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : ৭৪৫.৫০ টাকা, উত্তর দিনাজপুর : ৮১৭.৫০ টাকা।
অন্যদিকে আবার বাজেটে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় নতুন করে এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে রান্নার গ্যাস কানেকশন দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এনিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে নতুন কানেকশন দিচ্ছে সরকার। তাদের বক্তব্য, “যদি সিলিন্ডার কেনার ক্ষমতা না থাকে তাহলে ওই কানেকশন নিয়ে লাভ কি হবে!”