সিভিক ভলান্টিয়ার পরিচালিত বিদ্যালয় রাজ্যের স্বীকৃতি পেয়ে রূপ পেল সরকারি স্কুলের

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

অমরনাথ দত্ত : পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত বড়াল পাড়া ও বাঁধের পাড়ার আদিবাসী এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে একটি স্কুল চলছিল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সাহায্যে। যে স্কুল বর্তমানে রাজ্য সরকারের স্বীকৃতি পেয়ে বৃহস্পতিবার সরকারি স্কুলে পরিণত হল। নতুন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন হলো মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার হাত দিয়ে।

Advertisements

এদিন নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি স্কুলে সদ্য ভর্তি হওয়া ৫৪ থেকে ৫৫ জন পড়ুয়ার হাতে রাজ্য সরকারের ‘বুক ডে’ হিসাবে বই তুলে দেওয়া হল। আগামী দিনে স্কুলটিকে আরও উন্নততর করে তোলার প্রতিশ্রুতি মিলল মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা থেকে। স্কুলটি গড়ে উঠেছে এলাকার স্থানীয়দের দেওয়া জমিতে।

Advertisements

স্কুলের রাজ্য সরকারের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, “এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলটি চলছিল। তারপর রাজ্য সরকার এই স্কুলকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেয়। তারই উদ্বোধন হলো আজ।”

Advertisements

ওই এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দা আদিবাসী। এলাকার বেশকিছু পড়ুয়া পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে সেখানে আগে নিয়ম মেনে পড়তে যেত। কিন্তু একদিন দুর্ঘটনায় দুই খুদে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই এলাকার বাসিন্দারা আর তাদের বাচ্চাদের দূরের ওই স্কুলে পাঠাতে রাজি হয় নি।যে কারণে এলাকাতেই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং স্থানীয়দের সাহায্যে খুদেদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এতদিন সরকারি স্বীকৃতি ছাড়াই চলছিল পড়াশোনা। সেই স্কুল পেল সরকারি স্বীকৃতি।

এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দা আদিবাসী হওয়ার দরুন এই স্কুলে একজন অলচিকি ভাষার একজন শিক্ষক রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। আর নিজেদের এলাকায় এমন একটি স্কুল পেয়ে স্বভাবতই খুশি বাসিন্দারা।

Advertisements