নিজস্ব প্রতিবেদন : খনিজ সম্পদের সন্ধান যে কোন দেশ অথবা যেকোনো রাজ্যের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কয়লা থেকে শুরু করে খনিজ তেল ইত্যাদির সন্ধান পাওয়া মানেই যে কোন এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় বদল এনে দেওয়া। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় বছরের পর বছর খনিজ সম্পদের সন্ধান চালানো হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জায়গা রয়েছে যেখানে খনিজ সম্পদ কয়লা থেকে শুরু করে খনিজ তেল ইত্যাদি পাওয়া যায়।
বিভিন্ন জায়গায় যখন খনিজ সম্পদের সন্ধান চালানো হয়ে থাকে ঠিক সেই সময় বাংলার বুকে একটি অন্যরকম ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। অন্যরকম এই ঘটনায় কুয়োর জলে ভাসছে তেল (Oil Scattered in WB। মাটির নিচ থেকেই ওই তেল আসছে বলে অনুমান। আর এই ঘটনার নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এবং জল্পনা তৈরি হচ্ছে, কোথায় থেকে তেল এসে মিশছে কুয়োর জলে?
কুয়োর জলে এইভাবে তেল মিশে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার মালব্লকের ওলদাবাড়ি এলাকায়। তেলের সন্ধান পাওয়া মানে যেখানে যেকোনো জায়গার ভাগ্য খুলে যাওয়া, সেই জায়গায় এই এলাকার বাসিন্দারা কুয়োর জলে তেল মিশে যাওয়ার কারণে নতুন সমস্যায় পড়েছেন। এছাড়াও এই তেল কোথায় থেকে আসছে তা নিয়ে চরম জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Coal Mine: কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মিললো কালো সোনা, ফের বাংলার নতুন জায়গায় কয়লার সন্ধান
প্রাথমিকভাবে যা অনুমান করা হচ্ছে তাতে মাটির নিচ দিয়ে অপরিশোধিত তেল নিয়ে যাওয়ার যে প্রজেক্ট রয়েছে সেখান থেকেই তেল লিক করে কুয়োর জলে মিশছে। কেননা এই এলাকার ওলদাবাড়ির বিধানপল্লিতে রয়েছে একটি রিপিটার স্টেশন। যার মাধ্যমে অসমের ডিগবয় থেকে বারাউনি পর্যন্ত অপরিশোধিত তেল মাটির নিচ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে ওই রিপিটার স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি বাড়িতে এমন সমস্যা।
ওই রিপিটার স্টেশন হলো ইন্ডিয়ান ওয়েলের। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের গুয়াহাটি অফিসের অপারেশন ম্যানেজার লক্ষ্যজিৎ সইকিয়া জানিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে মাটির নিচে দিয়ে তেল নিয়ে যাওয়া হয় সেই পদ্ধতিতে কোথাও কোনো রকম লিক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেই তা গুয়াহাটির কেন্দ্রীয় অফিসে ধরা পড়ে যায়। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা এখনো ধরা পড়েনি। তবে তিনি দাবি করেছেন আরো একটি তেল সংস্থার পাইপলাইন ওই এলাকার নিচ দিয়ে গিয়েছে। হতে পারে তাদেরও কোন সমস্যা থাকতে পারে। তবে এই সমস্যায় রীতিমতো অসুবিধার মুখে এলাকার বেশ কিছু পরিবার।